সেমির লড়াই থেকে ছিটকে পড়া সাউথ আফ্রিকার হারানোর ছিলোনা কিছুই। আর তাই তো কি নির্ভার ক্রিকেটটাই না তারা খেললো। ২০৩ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ১২ ওভার ৪ বল হাতে রেখে ৯ উইকেটের এক সহজ জয় তুলে নিয়েছে প্রোটিয়ারা।
এই অল্প পুঁজিতে জয় আনতে প্রয়োজন ছিলো ম্যাজিকাল মালিঙ্গার। কিন্তু দলীয় ৩১ রানে ডি ককের উইকেট ছাড়া আর কিছুই করতে পারেননি তিনি। আবারো অন্য ম্যাচগুলোর মত ব্যাটিং বিপর্যয় হতে পারত প্রোটিয়াদের। কিন্তু আমলার সাথে শক্ত হাতে হাল ধরেন অধিনায়ক ডু প্লেসিস।
তাদের অপরাজিত ১৭৫ রানের পার্টনারশিপে সহজ জয় পায় প্রোটিয়ারা। হাশিম আমলা ব্যক্তিগত ৮০ ও ডু প্লেসিস ৯৬ রানে অপিরাজিত থাকেন। ব্যক্তিগত ৬৮ রানে জীভন মেন্ডিসের বলে এলবিডাব্লিউ হয়েছিলেন আমলা, কিন্তু রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান তিনি।
এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শ্রীলঙ্কা ভালো শুরু পেলেও প্রিটরিয়াস ও মরিসের বোলিং তোপে ২০৩ রানেই থেমে যায় লঙ্কানদের ইনিংস। শ্রীলঙ্কার হয়ে সর্বোচ্চ রান আসে কুসল পেরেরা ও ফার্নান্দোর ব্যাট থেকে। দু জনেই ব্যক্তিগত ৩০ রান করে সাজঘরে ফিরেন। মিডল অর্ডার ও লো অর্ডারের ব্যার্থতায় বড় সংগ্রহ পায়নি দলটি। আফ্রিকার হয়ে ২৫ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যান অফ দা ম্যাচ হয়েছেন প্রিটরিয়াস। এছাড়াও ক্রিস মরিস ৪৬ রানে ৩ টি, রাবাদা ২ টি এবং ফিলকিউই ও ডুমিনি ১ টি করে উইকেট নেন।
এই জয়ে স্বান্তনা পেল সাউথ আফ্রিকা। কিন্তু, স্বস্তি পেল বাংলাদেশ ও পাকিস্তান। কেননা সেমির দৌড়ে এশিয়ার এই তিন টিম ও ইংল্যান্ডের মধ্যেই কোনো এক দল শেষ চারে খেলার হাসিটা হাসবে। শেষ চারে উঠা নিয়ে রয়েছে নানা হিসাব নিকাশ জল্পনা কল্পনা। আর সেসব হিসাব মিলাতে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচ পর্যন্তই অপেক্ষা করতে হবে সবাইকে। আগামীকালের ম্যাচে যদি আফগানিস্তান পাকিস্তানকে হারাতে পারে তাহলে আরো জমে উঠবে শেষ চারের লড়াই।