ঘরের মাঠে মুখ থুবড়ে পড়তে হল দিল্লিকে। হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করে ১২৯ রানই তুলতে পেড়েছিল হোম টিম। জবাবে ৯ বল ও ৫ উইকেটে জয় তুলে নিলো হায়দরাবাদ।
হায়দরাবাদ টসে জিতে দিল্লিকেই প্রথমে ব্যাট করতে পাঠায়। ওপেন করতে নেমে সেই ভরসা দিল্লিকে দিতে পারেননি পৃথ্বী শ। ১১ বলে ১১ রান করে ভুবনেশ্বর কুমারের বলে বোল্ড হয়ে যান পৃথ্বী।
দিল্লি ক্যাপিটাল্স কোনও ব্যাটসম্যানই কোটলার উইকেটে দ্রুত গতিতে রান করতে পারেননি। একদিক ধরে রেখে চেষ্টা করেছিলেন অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার (৪১ বলে ৪৩)। কিন্তু রশিদ খানকে মারতে গিয়ে আউট হন। এছাড়া শেষের দিকে ক্রিস মরিস (১৫ বলে ১৭) ও অক্ষর প্যাটেল (১৩ বলে ৩) কিছুটা ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের চেষ্টায় ২০ ওভারে ১২৯-৮-এ শেষ হয়ে গেল দিল্লির ইনিংস।
তার আগে বেয়ারস্টোর ইনিংসে না থাকলে সানরাইজার্স-ও সমস্য়য় পড়তে পারত। টি২০ ক্রিকেটের অনুপযুক্ত এই উইকেটে কিন্তু কথা উঠতে বাধ্য।
জবাবে দুই ওপেনার জনি বেয়ারস্টো ও ডেভিড ওয়ার্নার ৫ ওভারের শেষে হায়দরাবাদ ৪৮ রান তোলে। এতটা ভাল শুরু করেও ধরে রাখতে পারলেন না হায়দরাবাদের দুই ওপেনার। ডেভিড ওয়ার্নার ১০ ও জনি বেয়ারস্টো ৪৮ রানে আউট হয়ে যান।
দুই ওপেনারের পর তিন ও চার নম্বরে নামা বিজয় শঙ্কর ও মাণীশ পাণ্ড্যেও শেষ পর্যন্ত ভরসা দিতে পারলেন না। ১৩০ রানে লক্ষ্যে নেমে দু’জনে ফিরলেন ১৬ ও ১০ রানে। ১৫ ওভারের শেষে হায়দরাবাদ ১০৩-৪। মাত্র ১৩০ রানের লক্ষ্যে নেমে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ জিতল হায়দরাবাদ।পরে ১৮.৩ ওভারে ১৩১ রান করে হায়দ্রাবাদ।
এই জয়ে পয়েন্ট টেবলের মগডালে হায়দরাবাদ, চার ম্যাচে ছয় পয়েন্ট নিয়ে। সমান পয়েন্ট নিয়েও পিছিয়ে পাঞ্জাব আর চেন্নাই, সৌজন্য, সানরাইজার্সের অনেক ভাল নেট রানরেট।