বিশ্বকাপে সেমিফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রাখতে হলে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটিতে জয়ের কোনো বিকল্প নেই বাংলাদেশের। এই ম্যাচে টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করছে বাংলাদেশ।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে সকলকে চমকে দিয়ে ব্যাটিং উদ্বোধন করেন তামিম ও লিটন। তবে এই জুটিতে মনের মতো দলীয় সূচনা পায়নি বাংলাদেশ দল। দলীয় ২৩ রানের মাথায় বিতর্কিত ক্যাচ আউট হয়ে কাঁদতে কাঁদতে মাঠ ছাড়ে লিটন দাস।
মুজিবুর রহমানের করা ইনিংসের পঞ্চম ওভারে দ্বিতীয় বলে সর্কেলের ভিতরে লিটনের আঘাত করা বল তালুবন্দী করেন শাহীদ। ক্যাচটি সম্পর্কে নিশ্চিত হতে ফিল্ড আম্পয়ার টিভি আম্পয়ারের সাহাস্য নেন। এ সময় দেখা যায় বলটি শাহীদের হাতে আসার পরই তা মাটি স্পর্শ করে। কিন্তু তা সত্বেও টিভি আম্পায়র লিটনকে আউট দেন।
এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই ছন্দে দেখা যাচ্ছিল লিটন দাসকে। তবে আম্পায়ারের বিতর্কিত সিদ্ধান্তে ১৭ বল থেকে ২টি চারের মারে ১৬ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরতে হয়। মাঠ ত্যাগ করার সময় তার চোখে জল দেখা যায়।
লিটনের বিদায়ের পর দ্বিতীয় উইকেটে জুটি বাঁধেন তামিম ও সাকিব। এই জুটিতে তারা৫৯ রান যোগ করার পর বাংলাদেশ শিবিরে দ্বিতীয় আঘাত হানেন মোহাম্মদ নবী। দলীয় ৮২ রানে নবীর বল কাট করতে গিয়ে বোল্ড আউট হন তামিম। ৫৩ বল থেকে ৪টি বাউন্ডারিতে ৩৬ রান করেন।
তামিমের বিদায়ের পর ক্রিজে থাকা সাকিব আল হাসানের সঙ্গে জুটি বাঁধেন সাকিব। মুশফিককে নিয়ে ৬৬ বল থেকে আসরে নিজের তৃতীয় ফিফটি তুলে নেন সাকিব। তবে ফিফটির পর সাকিবকে বেশি দূরে যেতে দেননি মুজিবুর। ৫১ রানে এল বি ডল্লিইয়ের ফাঁদে ফেলে আউট করেন তাকে। এতে সাকিব ও মুশফিকের ৬১ রানের জুটিতে ছেদ পড়ে।
সাকিবের বিদায়ের পর চতুর্থ উইকেটে ব্যাট করতে আসা সৌম্য ক্রিজে স্থায়ী হতে পারেননি। দলীয় ১৫১ রানে মুজিবুরের তৃতীয় শিকারে পরিণত হন তিনি। সৌম্য করেন ১০ বল থেকে ৩ রান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: বাংলাদেশ ৩৩ ওভার শেষে ১৫৩/৪
ক্রিজে আছেন: মুশফিক ৩৯ ও মাহমুদুল্লাহ ১