সাকিবের বিষয়ে গতকালের মতো আজও বাংলাদেশের ক্রিকেট পাড়া চরম ভাবে উত্তাল। গতকালের টপিক ছিল সাকিব কি ভারত সফরে যাচ্ছেন না? আর আজকের টপিক হলো বাজিকরদের কাছ থেকে ম্যাচ বা স্পট ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেকেও তিনি কেন আইসিসি বা বিসিবিকে জানালেন না। তাই ১৮ মাসের জন্য নিষিদ্ধ হতে যাচ্ছেন সাকিব। ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে সাকিবের শাস্তি হয়ে গেছে এবং তিনি আবেদন করলে তা কমানোও হতে পারে।
আইসিসির কোড অব কন্ডাক্টে স্পষ্ট করে বলা আছে, বাজিকরদের কাছ থেকে ম্যাচ বা স্পট ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেলে সংশ্লিষ্ট বোর্ডকেসে বিষয়ে অবহিত করতে হবে। অথবা, আইসিসির দুর্নীতি দমন সংস্থা- আকসুকে জানাতে হবে। আর সে খবর নিজে লুকিয়ে রাখলে সেটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে গণ্য হবে।
সমস্যাটা হলো দু’বছর আগে এক ওয়ানডে ম্যাচের আগে এমন প্রস্তাব পেয়ে সরাসরি না করে দিয়েছিলেন সাকিব। তবে আইসিসি বা বিসিবি কাওকেই বিষয়টি জানাননি তিনি। এই কারণেই দেশের ক্রিকেট ভক্তদের জন্য এসেছে নতুন দুঃসংবাদ। ছড়িয়ে পড়েছে, আইসিসির দুর্নীতি দমন সংস্থার রায়ে ১৮ মাসের জন্য নিষিদ্ধ হতে যাচ্ছেন সাকিব।
আবার এও বলা হচ্ছে, ক্ষমা চেয়ে আবেদন করলে নাকি সাকিবের শাস্তি কমানোও হতে পারে। কিন্তু, ক্রিকেটের জনপ্রিয় অনলাইন পোর্টাল ইএসপিএন ক্রিকইনফোর এক প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, সাকিব আল হাসানের বিপক্ষে এখনও কোনো অভিযোগই গঠন করেনি আইসিসি।
ক্রিকইনফোর প্রতিবেদনে বলা হয়, ফিক্সিং প্রস্তাব পাওয়ার পরও সেই বিষয়ে কেন আইসিসিকে জানায়নি সাকিব এই বিষয় নিয়েই এখনো তদন্ত করছে আকসু। কিন্তু এখন পর্যন্ত সাকিবের বিপক্ষে কোনো অভিযোগই গঠন করেনি আইসিসি।