বিপিএলের ইনজুরির পর থেকে দীর্ঘদিন থেকে খেলার বাইরে ছিল সাকিব। এর জন্য তাকে নিউজিল্যান্ডের সফরটিও বাতিল করতে হয়েছে। এরপর ইনজুরি থেকে ফিট হওয়ার সাথে সাথেই বিশ্বকাপের প্রস্তুতির উদ্দেশ্যেই আইপিএলে সাকিবকে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে আইপিএলে প্রথম ম্যাচটি খেলার পর থেকে সাকিবকে ডাগআউট ছাড়া মাঠে আর দেখা যায় নি। ফলশ্রুতিতে প্রচলিত বাংলা ভাষায় বলতে হয় “আম ও গেলো, ছালাও গেলো”। তবে এতকিছুর পরও সাকিব বিষয়টি নিয়ে হায়দরাবাদকে দোষ না দিয়ে নিজের দুর্ভাগ্য হিসেবেই দেখছেন।
সম্প্রতি ইএসপিএন ক্রিকইনফোকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে এবারের আসরে নিজের খেলতে না পারার হতাশার কথা জানিয়ে সাকিব বলেন,
‘এবার তেমন খেলতে পারলাম না। খুব দুর্ভাগ্যজনক। কিন্তু একই সঙ্গে বলব বড় প্রেক্ষাপটে যদি দেখি এখানে বিদেশীরা সবাই খুব ভালো করছে। কাজেই এই অবস্থায় ম্যাচ পাওয়াটা কঠিন ছিল।’
চোট কাটিয়ে ফেরার পরই আইপিএল খেলতে যান সাকিব। ম্যাচ না পাওয়ায় অনুশীলন চালাতে দেশ থেকে উড়িয়ে নেন নিজের গুরু মোহাম্মদ সালাউদ্দিনকে। দুধের স্বাদ যেমন ঘোলে মেটে না, তেমনি কেবল অনুশীলনে ও মন ভরার কথা না।
আর তাই হতাশার কণ্ঠে সাকিব বলেন, ‘বলতে পারি এটা দুর্ভাগ্যজনক, এটা হতাশাজনক। কিন্তু একই সঙ্গে আমাকে পরিস্থিতিটাও বুঝতে হবে। নেটে আমি আমার সেরাটা দিচ্ছি, স্কিল আর ফিটনেস নিয়ে প্রচুর খাটছি। বলতে পারি সুযোগের অপেক্ষায় আছি। সুযোগ পেলেই সেটা পুরো কাজে লাগাতে চাইব।’
অবশ্য সুযোগ এই বছর আর তেমন পাচ্ছেন না সাকিব। সম্ভবত ২১ এপ্রিল কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে শেষ ম্যাচটি খেলবেন তিনি। কারণ বাংলাদেশ দলের বিশ্বকাপ ক্যাম্প শুরু হওয়ায় ২২ এপ্রিলেই দেশে ফিরতে হবে তাকে।