ইনজুরি, নিষেধাজ্ঞা কিংবা ব্যক্তিগত ও ছুটির কারণে গত চার বছরে অন্তত ১৬টি টেস্ট মিস করেছেন সাকিব আল হাসান। যা নিউজিল্যান্ড সফরেও তার না থাকায় ১৮-তে ঠেকবে। এবার পারিবারিক কারণ দেখিয়ে ছুটি নিয়েছেন সাকিব।
টেস্ট ক্রিকেটে সাকিবের নিয়মিত অনুপস্থিতি অনেকের মনে প্রশ্ন জাগাচ্ছে সাকিব কি আর টেস্ট খেলতে চাননা? তবে কি টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় বলতে চান তিনি?
এসব বিষয়ে মুখ না খুলে সাকিব সবসময় বলেছেন, নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা রয়েছে তার। তবে এবার মুখ খুলে ছোট খাটো বিস্ফোরণ ঘটালেন তিনি, স্বীকার করলেন টেস্ট ক্রিকেট নিয়ে আসলেই চিন্তা করতে শুরু করেছেন তিনি।
করোনা মহামারীর কারণে বর্তমান সময় কোয়ারেন্টাইন ও জৈব সুরক্ষা বলয়ের বাস্তবতায় তিন ফরম্যাটে একসঙ্গে খেলা চালিয়ে যাওয়া প্রায় অসম্ভবই মনে হচ্ছে সাকিবের কাছে। তাই নতুন বছরেই হয়তো ক্রিকেটের কোনো এক ফরম্যাটকে বিদায় জানাতে পারেন তিনি।
বুধবার আমেরিকার উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়ার আগে এক বেসরকারি টিভি চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সাকিব বলেন, ‘আমার কাছে কোনটা গুরুত্বপূর্ণ আমি জানি, কোনটার অগ্রাধিকার দিতে হবে সেটাও জানি। এখন আসলেই এমন সময় এসেছে যে আমি টেস্ট নিয়ে চিন্তা করছি। এটাই হচ্ছে বিষয়। আমি আদৌ আর টেস্ট খেলবো কি না, খেললেও কীভাবে খেলবো।’
সাকিব আরও যোগ করেন, ‘এমনকি ওয়ানডে ফরম্যাটে যেগুলো পয়েন্ট পদ্ধতির বাইরে হয় সেগুলোয় আমার অংশগ্রহণ দরকার আছে কি না… আসলে আমার কাছে আর কোনো পথ নেই। আমি বলছি না যে টেস্ট ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়াবো। এমনও হতে পারে ২০২২ সালের বিশ্বকাপের পরে আমি আর টি-টোয়েন্টিই না খেলি। তখন ওয়ানডে আর টেস্ট খেললাম।’
সাকিব সিদ্ধান্ত নিবেন জানুয়ারিতে বোর্ডের পরিকল্পনা দেখে তবেই। তবে বেছে বেছে খেলার ব্যাপারে সুস্পষ্ট ইঙ্গিতই দিয়ে রাখলেন তিনি, ‘একসাথে তিন ফরম্যাটে খেলা চালিয়ে যাওয়া অসম্ভব। আপনি যখন ৪০-৪২ দিনের মধ্যে দুইটা টেস্ট খেলেন এটা কোনোভাবেই ফলপ্রসূ হওয়ার মতো বিষয় না।’
বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার বলেন, ‘স্বাভাবিকভাবেই এটা অনুপ্রাণিত করে বেছে বেছে ম্যাচ খেলার জন্য। যেগুলো নিয়ে বিসিবির সঙ্গে ভালোভাবে একটা পরিকল্পনা করা জরুরি। সেই পরিকল্পনা করেই সামনে আগানো হবে বুদ্ধিমানের কাজ। এই পরিকল্পনা জানুয়ারির মধ্যে হলেই জানতে পারবো পুরো পরিকল্পনা কী হচ্ছে।’