বিশ্বকাপ স্কোয়াডে সুযোগ পাওয়া মিরাজ খেলবেন এবার তার প্রথম বিশ্বকাপ। ২০১৭ সালে ওয়ানডেতে অভিষেক হয়েছিল মিরাজের। তারপর থেকে টানা দুই বছর ধরে জাতীয় দলে নিয়মিত পারফরম্যান্স করে যাচ্ছেন তিনি। আর তারই ধারাবাহিকতায় জায়গা হয় মিরাজের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে।
অপরদিকে টাইগার দলের আরেক অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান এবারের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে সহ অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। ২০০৬ সালে ওয়ানডে অভিষেক হওয়া সাকিব জায়গা করে নিয়েছিলেন ২০০৭ সালের বিশ্বকাপে।
এরপর ২০১১ এবং ২০১৫ বিশ্বকাপ খেলেছেন তিনি। তিন বিশ্বকাপে ২১ ম্যাচে ২৩ উইকেট নেয়া সাকিব ইংল্যান্ডের মাটিতে বল হাতে কতটা কার্যকর হবেন, দেখার অপেক্ষায় আছেন ওয়াসিম।
‘বাংলাদেশ দলে কোন রিষ্ট স্পিনার নেই। ফিঙ্গার স্পিনার মেহেদি হাসান এবং সাকিব আল হাসান দুইজনই আঁটসাঁট বোলিং করতে সক্ষম, কিন্তু তাঁদের উইকেট তুলে নেয়ার সামর্থ্য কতটুকু এটাই দেখার বিষয়। যদিও এবারের বিশ্বকাপে তারা (বাংলাদেশ) পেসারদের ওপর বেশি নজর দিয়ে আসছে। কিন্তু বিগত সময়ে বাংলাদেশের শক্তির জায়গা ছিল কোয়ালিটি স্পিন বোলার,’ বলেছেন পাকিস্তানের সাবেক ব্যাটসম্যান ওয়াসিম।
বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতা না থাকলেও ঘরে এবং ঘরের বাইরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার অভিজ্ঞতা আছে মিরাজের। এখন অবধি ২৫ ওয়ানডে খেলা মিরাজ ২৬টি উইকেটের মালিক। এর মধ্যে দেশের বাইরে ১১ ম্যাচ খেলে ১১ উইকেট নিয়েছেন তিনি।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বেশ অভিজ্ঞ সাকিব ১৯৫ ওয়ানডে খেলে ২৪৭টি উইকেট নিয়েছেন। এর মধ্যে দেশের বাইরে সাকিবের উইকেট সংখ্যা ৬৬ ম্যাচে ৬৭ উইকেট।