পর পর দুই ম্যাচে জয়। কলকাতায় কেকেআর কে হারানোর পর নিজেদের ডেরায় এবার হায়দরাবাদকে হারাল রাজস্থান। এদিন হায়দরাবাদের করা ১৬০ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ৫ বল বাকী থাকতে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছে যায় রাজস্থান। হায়দরাবাদকে হারিয়ে প্লে-অফের আশা জিইয়ে রাখল রাজস্থান।
হায়দরাবাদের দেওয়া ১৬১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে রাজস্থানের হয়ে অনবদ্য ব্যাটিং করেন অজিঙ্ক রাহানে, সঞ্জু স্যামসনরা। এই দুজন ছাড়াও লিভিংস্টোন ও অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ অবদান রাখেন। ৩৪ বলে ৩৯ রান করেন রাহানে। লিভিংস্টোন মাত্র ২৬ বলে ৪৪ রান, স্টিভ স্মিথ ১৬ বলে ২২ রান ও শেষ দিকে সঞ্জু স্যামসন মাত্র ৩২ বলে ৪৮ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন।
এদিন হায়দরাবাদের হয়ে কোনও বোলার সেভাবে ছাপ ফেলতে পারেননি। ভুবনেশ্বর কুমার ৪ ওভারে ২২ রান দিয়ে দিলেও কোনও উইকেট পাননি। সাকিব আল হাসান, রশিদ খান, খলিল আহমেদরা মাত্র একটি করে উইকেট পেয়েছেন।
এর আগে টস জিতে প্রথমে হায়দরাবাদকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় রাজস্থান অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ। বেয়ারস্টো না থাকায় ডেভিড ওয়ার্নারকে সঙ্গে নিয়ে ওপেন করতে নামেন অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। কিন্তু ফিরলেন মাত্র ১৩ রানে। এরপর অবশ্য মনীশ পাণ্ডে এবং ওয়ার্নার জুটি টানতে থাকে হায়দরাবাদকে। কিন্তু ওয়ার্নার ৩৭ রানে ফিরে যান আর তার পরেই ৬১ রানে ফেরেন মনীশ পাণ্ডে। এরপর নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকে হায়দরাবাদ। সাকিব আল হাসান ১০ বল থেকে ৯ রান করে আউট হন।
একমাত্র শেষ দিকে ৮ বলে অপরাজিত ১৭ রান করেন রশিদ খান। বিজয় শঙ্কর(৮), সাকিব আল হাসান(৯), দীপক হুডা(০), ঋদ্ধিমান সাহা(৫), ভুবনেশ্বর কুমার(১) রান করেন। শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেট হারিয়ে ১৬০ রান তোলে হায়দরাবাদ। বরুন অ্যারোন, থমাস, শ্রেয়স গোপাল, জয়দেব উনাদকাট ২টি করে উইকেট নেন।
মাঝে পাঞ্জাব ১১ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে লিগ তালিকা ভেসে রয়েছে। এদিন রাজস্থান জেতায় এখনও প্রায় সবকটি দলের প্লে অফে যাওয়ার সুযোগ থাকল। চেন্নাই ১২ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে মুম্বই ও দিল্লি রয়েছে। তাঁদের পয়েন্ট সমান, ১৪।
চতুর্থ পঞ্চম ও ষষ্ঠ স্থানে ১০ পয়েন্ট নিয়ে রয়েছে হায়দরাবাদ, পাঞ্জাব ও রাজস্থান। এবং সপ্তম ও অষ্টম স্থানে রয়েছে কলকাতা ও বেঙ্গালুরু। এই দুই দলের পয়েন্ট ৮।