জয় দিয়ে বিপিএল ষষ্ঠ আসর শেষ করল রাজশাহী কিংস। সিলেটের দেওয়া ১৯০ রানের লক্ষ্য ৫ উইকেট হাতে রেখেই জয় তুলে নিলো তারা। এই জয়ে সুপার ফোরে খেলার সম্ভাবনা জিইয়ে রাখলো রাজশাহী।
সিলেটের দেওয়া ১৯০ রানের পাহাড় উৎরাতে গিয়ে দলীয় ১৪ রানে জাকির হাসানের উইকেট হারায় মিরাজরা। এসময় ৭ বল থেকে ৭ রান করে তাসকিনের শিকার হন জাকির। ওপেনার চার্লসকে সঙ্গ দিতে দ্বিতীয় উইকেটে ব্যাট করতে আসেন তৃতীয়বারের মতো একাদশে সুযোগ পাওয়া শাহরিয়ার নাফিজ। তবে নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি তিনি। ১৩ বল থেকে ৯ রান করে কাপালির বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তিনি। তবে ওপেনার চার্লস এ সময় ঠিকই রানের চাকা সচল রেখে চলেছেন।
নবম ওভারের চতুর্থ বল ও দলীয় ৬৪ রানে সিলেট শিবিরে স্বস্তি ফিরিয়ে আনেন কাপালি। এসময় তিনি ২৬ বল থেকে ৩৯ রান করা চার্লকে ফিরিয়ে দেন। চতুর্থ উইকেটে ইনিংস মেরামতের দায়িত্ব কাঁধে নেন ইভান্স ও ডাসকাট। তারা দুজনে দলের জয়ের পথ সহজ করেন। প্রথমে তারা ২৬ বল থেকে অর্ধশত রানের জুটি গড়েন।
দলীয় ১৭৩ রানের সময় এই জুটিতে প্রতিরোধ গেড়েন সোহল তানভির। ফলে ৪৫ বল থেকে ইভান্স ও ডাসকাটের করা ১০৯ রানের জুটির সমাপ্তি হয়। একই ওভারের চতুর্থ বলে ফেরে অন্য সেট ব্যাটসম্যান ইভান্স। বাউন্ডারি থেকে আফিফ অসাধারণ একটি ক্যাচ নিলে ইভান্সের ৩৬ বল থেকে ৭৬ রানের ইনিংসের ইতি হয়।
তবে দুই সেট ব্যাটসম্যান ফিরে গেলেও রাজশাহীর জয়টা এসময় হাতের মুঠোয় ছিল। ২১ বল থেকে তাদের প্রয়োজন ছিল ১৩ রান। যা সৌম্য সরকার ও জনকারের ব্যাটে ভর করে ১২ বল হাতে রেখেই তুলে নেয় রাজশাহী।
সিলেটের হয়ে ৩ ওভারে ৩৪ রান দিয়ে ১টি উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ। ৪১ রানে ২টি উইকেট নেন অলোক কাপালি। ৩ ওভারে ২৭ রান খরচায় ২টি উইকেট নেন সোহেন তানভির।
এটিই বিপিএল ষষ্ঠ আসরে রাজশাহীর শেষ ম্যাচ। ১২ ম্যাচে তাদের জয় ৬টিতে। টেবিলের পঞ্চম স্থানে থেকে আসর শেষ করল তারা। তাদের উপরে স্থানে থাকা ঢাকা ১০ ম্যাচে জয় পেয়েছে ৫টি তে। তারা শেষ দুই ম্যাচে হারলে রাজশাহী চলে যাবে সুপার ফোরে। একটি ম্যাচ জিতলেও রান রেটে এগিয়ে থাকায় ঢাকাই যাবে প্লে অফে।
অন্যদিকে ১১ম্যাচে ৪ জয়ে সিলেটের পয়েন্ট ৮। ফলে আজকের হারে তারা বিপিএল ষষ্ঠ আসরের সুপার ফোরের লড়াই থেকে ছিটকে গেল।