বৃহস্পতিবার রাতে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ও সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ম্যাচটির নিষ্পত্তি হলো সুপার ওভারে। যেখানে হায়দরাবাদ সুপার ওভারে ৯ রানের লক্ষ্য দেয় মুম্বাইকে। জবাবে মাত্র তিন বলেই প্রয়োজনীয় রান তুলে মুম্বাই ম্যাচ জীতে নেয়। এই জয়ে দ্বাদশ আইপিএলে প্লে খেলা নিশ্চিত হলো তাদের।
এদিন জয়ের ফলে কলকাতার সুবিধা করে দিয়ে ১৩ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট পেয়ে মুম্বই প্লে অফে চলে গেল। আর হায়দরাবাদ ১৩ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট পেয়ে লিগ তালিকায় চার নম্বরে আটকে রইল। এখন যা অবস্থা তাতে হায়দরাবাদ, রাজস্থান, কলকাতা ও পাঞ্জাবের মধ্যে যেকোনও দল প্লে অফে যেতে পারে। তবে সব ম্যাচ জিতে রান রেটের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে।
এর আগে বৃহস্পতিবার টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মুম্বাই। ওপেন করতে নেমে অধিনায়ক রোহিত শর্মা ২৪ রান করেই আউট হয়ে যান। আর এক ওপেনার কুইন্টন ডে কক একাই মুম্বাইয়ের ইনিংসকে শেষ পর্যন্ত টেনে নিয়ে যান। না হলে এই রানটাও মুম্বাইয়ের বোর্ডে লেখা হত না। ৫৮ বলে ৬৯ রান করে অপরাজিত থেকে যান তিনি। উল্টোদিকে কেউ তাঁকে ভরসা দিতে পারেননি। সূর্যকুমার যাদব ২৩, এভিন লুইস ১, হার্দিক পাণ্ড্যে ১৮ ও কেরন পোলার্ড ১০ রান করে আউট হয়ে যান। ক্রুনাল পাণ্ড্যে ৯ রান করে অপরাজিত থাকেন। ২০ ওভারের শেষে পাঁচ উইকেট হারিয়ে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ১৬২ রানই তুলতে পারে।
রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো করেছিল হায়দরাবাদ। ঋদ্ধিমান সাহা ১৫ বলে ২৫ করে ভালো শুরু করে যান। আর এক ওপেনার মার্টিন গাপটিল ১১ বলে ১৫ রান করেন। তিন নম্বরে নামা মনীশ পাণ্ডে ৪৭ বলে অনবদ্য ৭১ রান করেন। শেষ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে তিনি ম্যাচ সুপার ওভারে টেনে নিয়ে যান। তবে শেষ অবধি ম্যাচ বাঁচাতে পারেননি তিনি।
ম্যাচ ড্র হয়ে যায়। শুরু হয়ে যায় সুপার ওভারের প্রস্তুতি। ব্যাট করতে নামেন মণীশ পান্ডে এবং মোহাম্মদ নবি। আর বল হাতে যশপ্রীত বুমরা। প্রথম বলেই রান আউট হয়ে আউট হয়ে যান মণীশ পান্ডে। মাঠে নামেন মার্টিন গাপ্টিল। নবি একটি ছক্কা হাঁকানোর পরের বলেই ক্লিন বোল্ড হয়ে যান।
মুম্বাইয়ের হয়ে প্রথমে ব্যাট করতে নামেন হার্দিক পান্ডিয়া এবং পোলার্ড। মাঠে নেমেই একটা ছক্কা হাঁকিয়ে দেন হার্দিক। আর তিন নম্বর বলে দু রান নিয়ে ম্যাচটাই জিতিয়ে দিলেন পোলার্ড।