ত্রিদেশীয় সিরিজের শিরোপা জয় করে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি সারলো বাংলাদেশ দল। ডি এল মেথডে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দেওয়া ২১০ রানের লক্ষ্য সাত বল ও পাঁচ উইকেট হাতে রেখেই জয় তুলে নিলো মাশরাফিরা। এর মধ্যে দিয়ে ফাইনালে ম্যাচ হারের লজ্জা থেকেও মুক্তি পেল তারা।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের দেওয়া রান তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশের হয়ে ঝড়ো ব্যাটিং দিয়ে ইনিংসের সূচনা করেন সৌম্য সরকার। তামিমকে সঙ্গে নিয়ে উদ্ধোধনী জুটিতে গড়েন অর্ধশত রানের জুটি। দলীয় ৫৯ রানে এই জুটির তামিম ১৩ বল থেকে ১৮ রান করে আউট হন।
তামিমের বিদায়ের পর সাব্বির ক্রিজে নামলেও ২ বল থেকে শূন্য রানে আউট হয়ে যায়। কিন্তু এসময় সৌম্য ২৭ বল থেকে অর্ধশতক তুলে নিয়ে ঝড়ো গতিতে রান তুলতে থাকেন। দলীয় ১০৯ রানের সময় সৌম্যকে থামান রিফার। সৌম্য ৪২ বলে ৬৬ রান করে আউট হন। তার ইনিংসটি ৯টি চার ও ৩টি ছক্কায় সাজানো ছিল।
সৌম্য বিদায়ের পর মুশফিককে নিজের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত করে রিফার। ২টি করে চার ও ছক্কায় ২২ বল থেকে ৩৬ রান করে আউট হন মুশফিক। এ সময় কিছুটা চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ।
এ সময় বাংলাদেশের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৬০ বল থেকে ৭৬ রান। ক্রিজে থাকা মিঠুনও দলীয় ১৪৩ রানে ব্যক্তিগত ১৭ রান নিয়ে আউট হলে ক্রিজে আসেন মোসাদ্দেক। এ সময় তিনি জুটি বাঁধেন মাহমুদউল্লাহর সাথে। এই জুটিতে তাদের আপরাজিত ৫৭ রানে ঐতিহাসিক জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ।
ম্যাচ জয়ে শেষ দিকে বড় অবদান রেখেছেন মোসাদ্দেক। মাত্র ২০ বলে মোসাদ্দেক অর্ধশতক তুলে নেন। জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ার আগে ৫ ছক্কা ২ চারে ২৪ বলে ৫২ রান করেন। মাহমুদউল্লাহ তাকে সঙ্গ দিয়ে ২১ বলে ১৯ রান করেন। বাংলাদেশ ৭ বল হাতে রেখেই ৫ উইকেটের জয় তুলে নেয়।
ছয়টি সিরিজ ফাইনাল খেলে অবশেষে জয়ের আক্ষেপ ঘুচলো বাংলাদেশের। এর আগে সব সংস্করণ মিলিয়ে ছয়বার ফাইনালে উঠেও শিরোপা জিততে পারেনি বাংলাদেশ। খুব কাছে গিয়েও হারতে হয়েছিল বারবার। ফাইনালে জেতার ফসকা গেরো অবশেষে খুলেছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ।
দলকে জেতাতে সবচেয়ে বড় অবদান ওপেনার সৌম্য সরকারের। ঝড় তুলে ফিফটি করে তিনি দেখিয়েছিলেন পথ। আর দলের চাপের মধ্যে নেমে আরেকটি ঝড়ো ফিফটি করে কাজটা সেরেছেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।