বাংলাদেশের ফ্রন্টলাইন স্পিনার মেহেদী মিরাজ ৪০ ওভার হাত ঘুরিয়ে ৮ মেডেন আর ৯৪ রান খরচায় লুফেছেন ৩ উইকেট। বিপরীতে প্রোটিয়া অফ স্পিনার ৪২ রানে নিয়ে ফেলেছেন ৪ উইকেট তাও আবার মাত্র ২০ ওভার বল ছুড়েই, সাথে রয়েছে ৭টি মেডেন। এবারে, আপনারাই পার্থক্যটা ভেবে দেখুন!
আচ্ছা, কে আগে কে পিছিয়ে সেটা তো বুঝতে আর রঙিন চশমার দরকার নেই, সাদাচোখে পরিসংখ্যানই দেখিয়ে দিচ্ছে। কিন্তু, আজন্মকাল স্পিনে পটু টাইগার ব্যাটারদের কেন এমন অসহায় আত্নসমর্পণ? ওপেনার সাদমানের কথাই ধরা যাক, জাতে তিনি একজন রক্ষণশীল ব্যাটার কিন্তু হার্মারের বলে কেন তিনি ব্যাকফুটে? কতটা সেট হয়েছিলেন তিনি, যে পেছনের পায়ে ভর দিয়ে খেলার চেষ্টা করেছিলেন ইনিংসের শুরুতেই?
আরও পড়ুনঃ ‘বুড়ো হাড়ের’ ভেল্কিতে বাজিমাৎ উমেশের!
আক্রমণাত্মক নাজমুল শান্ত ৩৮ রানের মাথায় ফিরলেন বোল্ড হয়ে। কিন্তু, অফ স্পিনারদের ড্রিম ডেলিভারির ভেল্কিতে। লেগ-মিডিলে ড্রপ পড়া বলটা অফ স্ট্যাম্পের বেল ছুঁয়ে গেল আর শান্ত চলে গেলেন সাজঘরে। এখানে শান্তর দোষ ক্ষমার যোগ্য। কাপ্তান মমিনুলের আউট প্রসঙ্গে কিছুটা দূর্ভাগ্যকে পুঁজি করা যেতে পারে। তবে নিজেদের সাহসিকতা ও প্রতিপক্ষকে চাপে রাখার বাহবাটা প্রোটিয়াদের প্রাপ্য। ইনসাইড এজ, সাথে কাছের ফিল্ডারের দুরন্ত ক্যাচ। ফলাফল মিমি ‘ডাক।’
এবারে আসি এই টেস্টে টাইগার একাদশে থাকা সবচেয়ে ভরসা আর অভিজ্ঞ ব্যাটার মুশফিকুর রহিম প্রসঙ্গে। অপরিপক্ক দক্ষিণ আফ্রিকাকে যখন পক্ক বাভুমা-এলগাররা ব্যাটের জোরে টানেন মুশি তখন দলকে বিপদে ফেলে সাজঘরে বসে হা-হুতাশ করেন। হার্মারের লেগে বাঁক নেওয়া বলে গ্লাভসটা ছুঁয়ে দিলেন, বল গেল কিপারের হাতে। আপিলে রক্ষা পেলেও রিভিউয়ে ফিরতে হলো নতমস্তকে। এমতাবস্থায় উপরের চার ব্যাটারকে হারিয়ে নড়বড়ে টিম টাইগার্স দিনশেষে পিছিয়ে ২৬৯ রানে। তবে বাকিদের আসা-যাওয়ার মিছিলে তরুণ মাহুমুদুল জয় ৪৪ রান নিয়ে একপ্রান্ত আগলে রেখেছেন।
বিডি স্পোর্টস নিউজ/বিপ্রতীপ দাস