ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টসে হেরে ৪৪.৪ ওভার ব্যাট করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ মাত্র ২১২ রান তুলেই অলআউট হয়ে গেছে। ক্যারিবিয়ানদের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৩ রানের ইনিংস খেলেন নিকোলাস পুরান। শুধুমাত্র পুরান ছাড়া বড় শর্ট খেলতে গিয়ে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে এসেছেন ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটাররা।
তবে ইংলিশদের হয়ে এই ম্যাচে সংকট হয়ে দাঁড়িয়েছে ইনজুরি। মাঠে ফিল্ডিং করার সময় হ্যামস্টিং ইনজুরিতে মাঠ ত্যাগ করেছেন ওপেনার জেসন রয় ও অধিনায়ক ইয়ন মরগান। এই দুই ক্রিকেটার ব্যাট করতে পারবেন কিনা তা নিশ্চিত নয়।
স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে উইন্ডিজের শুরুটা হলো বেশ নড়বড়ে। গেইল ও লুইসের উদ্ধোধনী জুটিতে চতুর্থ ওভারে আঘাত হানেন ক্রিস ওকস। মাত্র ২ রানে লুইসকে বোল্ড আউট করেন তিনি।
দ্বিতীয় উইকেটে হোপ ও গেইল সেই ধাক্কা কাটিয়ে ওঠেন অর্ধশতরানের জুটিতে। তবে এরপরই জোড়া উইকেট হারায় তারা। প্রথম ১৫ রানে জীবন পাওয়া গেইলকে ব্যক্তিগত ৩৬ রানে ফিরিয়ে দেন প্লানকেট।
গেইল ফেরার ১ রানের ব্যবধানে অন্য সেট ব্যাটসম্যান হোপকে রিভিউ নিয়ে আউট করেন উড। হোপ ৩০ বল থেকে ১১ রান নিয়ে উডের এল বি ডব্লিউয়ের শিকার হন।
চতুর্থ উইকেটে ইনিংস সর্বোচ্চ ৮৯ রানের জুটি গড়েন পুরান ও হেটমায়ার। এরপরই খেই হারিয়ে ফেলে তারা। টানা দুই ওভারে হেটমায়ার ও হোল্ডারের উইকেট তুলে নেন জো রুট। হেটমায়ার ৩৯ ও হোল্ডার করেন ৯ রান।
দলীয় ১৫৬ রানের সয়ম যখন হোল্ডার বিদায় নেন তখনও উইন্ডিজের হাতে ছিল ১৮ ওভার। কিন্তু মাত্র ৫৬ রান খরচ করেই শেষ চারটি উইকেট তুলে নেয় ইংল্যান্ড। সপ্তম উইকেটে পুরান ৭৮ বল থেকে ৩টি চার ও ১টি ছক্কায় ৬৩ রান করেন। তার উইকেটটি রিভিউয়ের সাহায্যে পান জোফ্রে আর্চার।
শেষ দিকের এই ব্যাটিং ধ্বসের সময় রাসেল ১৬ বল থেকে ২১, ব্রাথওয়েট ২২ বল থেকে করেন ১৪ রান।
ইংল্যান্ডের হয়ে এই ম্যাচে আর্চার ও মার্ক উড নেন ৩টি করে উইকেট। এছাড়া রুট নেন ২টি উইকেট। প্লানকেট ও ওকস নেন ১টি করে উইকেট।