কোপা আমেরিকায় দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থা কনমেবলকে ‘দুর্নীতিবাজ’ বলেছিলেন লিওনেল মেসি। সংবাদ মাধ্যমের সামনে এমন বিস্ফোরক মন্তব্য করেও অল্পতেই রক্ষা পেলেন মেসি। ২ বছরের নিষেধাজ্ঞা পেতে পারেন এমন গুঞ্জন উঠলেও দেড় হাজার ডলার জরিমানা করেছে তাকে কনমেবল।
কোপার সেমিফাইনালে ব্রাজিলের কাছে হেরে কনমেবল বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছিলেন পাঁচবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী মেসি। আয়োজক ব্রাজিল এবং ম্যাচ রেফারিদের ‘দুর্নীতিপরায়ণ’ অভিযুক্ত করেছিলেন তিনি। দাবি করেছিলেন, স্বাগতিক ব্রাজিলকে শিরোপা জেতাতে সম্ভাব্য সবকিছু করছে কনমেবল।
চিলির বিপক্ষে তৃতীয়স্থান নির্ধারণী ম্যাচে লাল কার্ড দেখায় এমনিতেই মেসির ওপর এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা ছিল। কনমেবল কাল এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা জারি রাখার পাশাপাশি শুধু জরিমানার অঙ্কটা যোগ করেছে।
সুতরাং এক ম্যাচে নিষেধাজ্ঞার কারণে মেসি ২০২২ সালে কাতার বিশ্বকাপের প্রথম কোয়ালিফায়ার ম্যাচে আর্জেন্টিনার হয়ে খেলতে পারবেন না মেসি। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে লাতিন আমেরিকা অঞ্চলের খেলা শুরু হবে আগামী বছরের মার্চে। এখনো সূচি চূড়ান্ত হয়নি। ড্রয়ের মাধ্যমে সূচি চূড়ান্ত হলে জানা যাবে কোন ম্যাচটি খেলতে পারবেন না মেসি।
এদিকে মেসির পাশাপাশি শাস্তি পেয়েছেন আর্জেন্টাইন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান ক্লদিও তাপিয়াও। কোপা আমেরিকা চলার সময় কনমেবলের সমালোচনা করেছিলেন। সে কারণে ফিফা কাউন্সিল থেকে তাপিয়াকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে তাকে। গত বছর অন্তর্বর্তীকালীন হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার তাপিয়ার জায়গায় নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন নিয়োগ দেওয়া হবে।