মাশরাফি, সাকিব, তামিম, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহ এই পাঁচ জনকে বলা হয় বাংলাদেশ দলের পঞ্চপাণ্ডব। কিন্তু পঞ্চপাণ্ডবদের মধ্যে সাকিব ও মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে দেখা গিয়েছে দ্বৈরথ, ড্রেসিংরুমের সেই কোন্দলের খবর বাহিরে বের হওয়ায় ব্যবস্থা নিবে বিসিবি।
দ্বন্দ্বটা মূলত মাহমুদউল্লাহকে কেন্দ্র করে। সম্প্রতি শেষ হওয়া বিশ্বকাপে শুধু ব্যাটসম্যান হিসেবেই খেলেছেন মাহমুদউল্লাহ। কিন্তু তার পারফরম্যান্স নিরাশ করেছে সবাইকে। বিশ্বকাপে ৭ ম্যাচে একটি ফিফটি তার। কাফ মাসলের চোটে ভুগছিলেন নিউজিল্যান্ড সফর থেকেই। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে ব্যাটিংয়ের সময় চোট পাওয়ার পর ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটি মিস করেন তিনি।
ক্রিকবাজের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে ড্রেসিংরুমের সমর্থনও হারিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মাহমুদউল্লাহর ৪১ বলে ২৮ রানের “অকার্যকর ও বিস্ময়কর” ইনিংসটির পর তাকে দল থেকে বাদ দিতে বলেছিলেন সাকিব।
কিন্তু অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার শক্ত সমর্থনে দলে টিকে যান মাহমুদউল্লাহ। আর তাতে ক্ষুব্ধ হন সাকিব। এরপর থেকে অধিকাংশ ম্যাচেই টিম প্ল্যানিং থেকে দূরে থেকেছেন সাকিব।
নিজস্ব সূত্রের বরাত দিয়ে ক্রিকবাজ বলেছে, সাকিব মনে করেন বিশ্বকাপের তৃতীয় ম্যাচে মাহমুদউল্লাহ জয়ের জন্য কোনো চেষ্টাই করেননি। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচটিতে ৪১ বলে ২৮ রান করেন মাহমুদউল্লাহ, যখন শেষ ২০ ওভারে ১৯০ রান প্রয়োজন ছিল। সেই সময় ড্রেসিংরুমের সবার মধ্যে বিশ্বাস ছিল ম্যাচটা জেতা সম্ভব। কিন্তু তার ব্যাটিংয়ে কখনো সেই লক্ষ্য ফুটে ওঠেনি। বিষয়টি ভালোভাবে নেননি সাকিব।
কিন্তু ড্রেসিংরুমের টিম প্ল্যানিংয়ের ব্যাপার বাহিরে এল কিভাবে?
ড্রেসিংরুমের খবর সাংবাদিকদের বলে দেওয়া কিংবা বাহিরে আলোচনা করা টাইগার সদস্যদের খুঁজে বের করবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড, নেবে ডিসিপ্লিনারি এ্যাকশন। জাতীয় ক্রিকেট দলের ভাবমূর্তি রক্ষায় সব কিছু করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন বিসিবি মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস।
একাত্তর টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “স্পোর্টসে প্রত্যেকটা দলের মধ্যেই কিছু ছোট খাট আর্গুমেন্ট থাকতে পারে। কিন্তু এসব খবর বাহিরে প্রকাশ হওয়ায় ক্ষুন্ন হয়েছে দলীয় ভাবমূর্তি। যারা এসব খবর প্রকাশ করেছে তাদেরকে খুঁজে বের করে তিরস্কার করা সহ ভবিষ্যতের জন্য সাবধান করে দেওয়া হবে। “