পোর্ট অব স্পেনে সিপিএলের ২৮তম ম্যাচে সাকিবের বার্বাডোজ ট্রাইডেন্টস ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয়। ম্যাচে অলরাউন্ডিং পারফর্ম করে দলকে জেতাতে বড় ভূমিকা রাখেন সাকিব।
সিপিএলের গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে দুর্দান্ত বোলিং করলেন সাকিব আল হাসান। শাহরুখ খানের ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে ৪ ওভার বোলিং করে ২৫ রান দিয়ে ২ উইকেট তুলে নেন তিনি। বার্বাডোজ ট্রাইডেন্টসের হয়ে চলমান আসরে এখন পর্যন্ত এটিই তার সেরা বোলিং ফিগার।
আগের দুই ম্যাচের মতোই আজ সাকিব তার দলের হয়ে ইনিংসের প্রথম ওভারে বোলিং করেন। ওপেনার জেমি নিশামকে কট এন্ড বোল্ড করে প্রথম ওভারেই দলের মুখে হাসি ফোটান সাকিব। প্রথম ওভারে উইকেট নেয়ার পাশাপাশি মাত্র ৪ রান খরচ করেন সাকিব। দ্বিতীয় ওভারে কোনো উইকেট না পেলেও অসাধারণ বোলিং করে আবারো মাত্র ৪ রান দেন তিনি।
এরপর ইনিংসের ১৫ তম ওভারে আবারো আক্রমণে আসেন সাকিব। আর দলকে উপহার দেন ৪ বাউন্ডারি ও ৪ ছক্কায় ৬০ রান করা ফিল সিমন্সের উইকেট। ওভারের চতুর্থ বলে সাকিবের বলে ছক্কা হাঁকান সিমন্স। আর তাতেই যেন জ্বলে ওঠেন সাকিব। পরের বলেই সিমন্সের স্ট্যাম্প উপড়ে ফেলেন তিনি। ত্রিনবাগোর দুই ওপেনারই আউট হন সাকিবের বলে। পাঁচ ডটের বিপরীতে সেই ওভারে এক ছক্কা ও এক ওয়াইডে ৭ রান দেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার।
ইনিংসের ১৭ তম ও ব্যাক্তিগত কোটার শেষ ওভারে চারটি ১ একটি ছয় ও শেষ বলে শূন্য রান দিয়ে ১০ রান খরচ করেন সাকিব। বল হাতে দুর্দান্ত সাকিবের দল এদিন ১৩৪ রানেই আটকে ফেলে ত্রিনিবাগোকে।
বার্বাডোজের হয়ে সাকিব, গার্নি ও ওয়ালস দুটি করে উইকেট লাভ করেন আর রেমন রেফার নেন ১টি উইকেট।
পরবর্তীতে ১৩৫ রানের লক্ষমাত্রা নিয়ে মাঠে নামে বার্বাডোজ। তবে ছোট লক্ষ্য থাকলেও জয় পেতে যথেষ্ট ভুগতে হয়েছে সাকিবদের। ছোট লক্ষ্য সত্ত্বেও শেষ ওভারের চতুর্থ বল পর্যন্ত খেলে তারপর জয়ের দেখা পায় সাকিব আল হাসানের দল।
জয়ের লক্ষ্যে বার্বাডোজ ব্যাটিংয়ে নামলে অষ্টম ওভারের পঞ্চম বলে ওপেনার আলেক্স হেলস দলীয় ৫৪ রানে আউট হন। তিনি ২৭ বল খেলে ৬ বাউন্ডারিতে ৩২ রান করেন। হেলস আউট হলে অষ্টম ওভারের শেষ বলে ওয়ানডাউনে মাঠে নামেন সাকিব। তবে ব্যাটিংয়ে খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। নিজেদের ইনিংসের প্রথম ওভারে যেই জেমি নিশামকে সাজঘরে ফিরিয়ে দুর্দান্ত বোলিং শুরু করেছিলেন সেই নিশামের বলেই আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। ১২ তম ওভারের শেষ বলে আউট হওয়ার আগে ১৪ বল খেলে ১৩ রান করেন সাকিব।
সাকিবের দলের হয়ে ওপেনার জনসন কার্লেস সর্বোচ্চ রান করেন। ৪৭ বল খেলে ৫ বাউন্ডারি আর ২ ছক্কায় ৫৫ রান করেন এই ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটার। নাইট রাইডার্সের হয়ে জর্ডান, নিশাম ও ডেয়াল ১ টি করে উইকেট নেন।