বিপিএল শেষে দেশের দুই শীর্ষ স্থানীয় কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন ও মোহাম্মদ সালাউদ্দীন তরুণদের পারফরম্যান্সে হতাশা ব্যক্ত করেছিলেন। তবে তাদের এই হতাশার রেশ কাটিয়ে অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন দুই তরুণ আফিফ হোসেন ধ্রুব আর মেহেদি হাসান মিরাজ।
বুধবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে একদম খাদের কিনারায় দাঁড়িয়েও অসামান্য দক্ষতা, আস্থা আর আত্মবিশ্বাস নিয়ে ব্যাট চালিয়ে ৭ম উইকেটে ১৭৪ রানের রেকর্ড জুটি গড়ে দলকে জিতিয়েছেন আফিফ-মিরাজ।
আরও পড়ুন: সত্যি বলতে আত্মবিশ্বাসী ছিলাম না : পাপন
তরুণরা তো এবার দেখিয়ে দিলেন। মিরাজ-আফিফের এমন পারফরম্যান্সের পর প্রশ্নটা উঠছে জোরেসোরে- বাংলাদেশের ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তা করার আসলেই কি বড় কারণ আছে? এ ব্যাপারে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নুর ভাবনা কী? তিনি কী মনে করেন? এমন প্রশ্ন ছুড়ে দেওয়া হলে দেশের এক অনলাইন সংবাদমাধ্যমকে একটু ঘুরিয়ে জবাব দিয়েছেন প্রধান নির্বাচক।
নান্নু বলেন, ‘অন্য ফরম্যাটের সাথে এই ফরম্যাট মেলালে তো হবে না। ৫০ ওভারের ক্রিকেটে আমাদের পুরো দলেরই পারফরম্যান্সে একটা ধারাবাহিকতা আছে। কম বেশি পারফরম্যান্সেও আছে ভারসাম্য।’
আরও পড়ুন: ওয়েস্ট ইন্ডিজের টেস্ট দলে ডাক পেলেন অ্যান্ডারসন ফিলিপ
‘ওয়ানডেতে কিন্তু আমাদের টিম পারফরম্যান্স বরাবরই ভালো। দলের মধ্যে একটা ভারসাম্য আছে। সেখানে তরুণদের পারফরম্যান্স মন্দ না। এই ফরম্যাটে আমাদের তরুণদের আগেও ভালো খেলার রেকর্ড আছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘টপ অর্ডার ফেইল করেছে। মিডল অর্ডারে এসে মিরাজ আর আফিফ দারুণ খেলে জিতিয়েছে । সেটা তো অবশ্যই খুব ভাল লাগার। তবে শুধু ব্যাটিংয়ের কথা বললে হবে না। আমাদের বোলারদেরও কৃতিত্ব দিতে হবে। জয়ের পেছনে অবদান আছে তাদেরও।’
আরও পড়ুন: বিসিসিআইয়ের সমালোচনায় ভারতের ক্রিকেটার অজয় জাদেজা
বোলারদের দক্ষতার কথা মনে করিয়ে দিয়ে নান্নু বলেন, ‘সকালে বোলিং ভালো হয়েছে। বোলাররা অনেক নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেছে। ২১৫-তে অলআউট করেছে। সেটাও ভালো অর্জন। আফগানিস্তানের শুরু ভালো ছিল। বোলাররা সেখান থেকে কামব্যাক করেছে।’
আফগান পেসার ফজলহক ফারুকির বোলিংয়েই ৪৫ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বসে টাইগাররা। কেন এমন হলো?
এই প্রশ্নের উওরে প্রধান নির্বাচক বলেন, ‘ফারুকির বলগুলো জোরের ওপর একটু সুইং করেছে। আর আমাদের টপ অর্ডার একটু বেশি অ্যাক্রোস খেলে ফেলেছে। এটা খেলারই অংশ। এটা হয়। হতেই পারে। ব্যাটারদের ভুলও খেলার অংশ। তবে এই ভুলগুলো শুধরে নিতে হবে।’
আরও পড়ুন: তিন ফরম্যাটে তিন কোচের দেখা মিলতে পারে অস্ট্রেলিয়ায়
নান্নুর শেষ কথা, ‘সিরিজের সুইচ অন হবার পর থেকে সব পদক্ষেপই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা খাদের কিনারায় পড়ে গিয়েও জিতেছি। তবে সেটা এখন অতীত। এখন পরের ম্যাচে সেখান থেকে রিকভার করা এবং ফ্রেশ হয়ে খেলতে হবে। ম্যাচ বাই ম্যাচ খেলতে হবে। নিজেদের সেরাটা দিতে হবে।’
বিডি স্পোর্টস নিউজ/জেএ