শুরুতে তামিম, পরে সাকিব। আবারো ব্যাটিংয়ে বিপাকে বাংলাদেশ। সেখান থেকে নয়া ব্যাটিং গুরু জেমি সিডন্সের মন্ত্রণায় লিটন-মুশফিকের ডাবল হান্ড্রেডের নান্দনিক জুটি। পাশাপাশি লিটনের দর্শনীয় শতক, তবে মুশফিকের সেঞ্চুরি হাতছাড়া করার আক্ষেপ। সবমিলিয়ে রানের পাহাড় দাঁড় করানো আফগানদের সামনে।
ম্যাচের গোড়াতে টসে জিতে ছুটির দিনে আফগান বোলারদের ব্যস্ত রাখার কাজটা সারেন টাইগার দলনেতা তামিম ইকবাল। বোলিংয়ের শুরুটা খাপছাড়া হলেও তামিমকে এদিনও থামান পেস বোলিং সেনসেশন ফারুকী। ১২ রানে এলবিডব্লুর ফাঁদে পড়েন দেশসেরা এই ওপেনার।
অভিজ্ঞ সাকিবকে নিয়ে আস্তেধীরে সামনের দিকে এগোতে থাকেন রানের ক্ষুধায় কাতর আরেক ওপেনার লিটন কুমার দাস। তবে ২০ রানে চমৎকার এক গুগলিতে সাকিবকে ফিরিয়ে গেল ম্যাচের প্রতিশোধ নেন রশিদ খান।
এরপরে লিটনকে সাথ দিতে নামেন ব্যাট হাতে নিজেকে হারিয়ে খোঁজা মুশফিকুর রহিম। দু’জনে মিলে রশিদ-নবীর স্পিন জুটি সামাল দিতে থাকেন শক্ত হাতে। ২০ ওভারে দলীয় রান শতক পেরোয়। নবীর তৃতীয় ওভারে ৮ চারে ৬৪ বলে ক্যারিয়ারের চতুর্থ ফিফটি করে ফেলেন লিটন।
মাঝপথে রান খরায় ভোগা মুশফিকের উইলো থেকেও আসে ফিফটি। তবে উভয়ের ২০২ রানের জুটি ভাঙেন আজকের ম্যাচে একাদশে সুযোগ পাওয়া পেসার ফরিদ আহমেদ। ১৬ চার এবং ২ ছয়ে ১২৬ বলে ১৩৬ রানে ফেরেন লিটন। ঠিক পরের বলে রান রেট বাড়াতে ব্যাট চালাতে গিয়ে শতক হাতছাড়া করে বসেন মুশফিক। ফেরেন ৯৩ বলে ৮৬ করে, বাউন্ডারি মারেন ৯টি।
ইনিংসের শেষ সময়টুকুতে মাহুমুদউল্লাহ আর আফিফ পারেননি দ্রুত রান তুলতে, উভয়ে মিলে করেন ২১ বলে ২১ রান। বাংলাদেশ থামে ৩০৬ রানে, ৪ উইকেটের বিনিময়ে। অতিথি বোলারদের অসহায় আত্নসমর্পণের দিনে ফরিদ শুধুমাত্র দুটি আর ফারুকী এবং রশিদ একটি করে উইকেট পান।
বিডি স্পোর্টস নিউজ/বিপ্রতীপ দাস