প্রায় ২ বছর ধরে জাতীয় দলে নেই সাবেক ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। তবে ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিতই খেলছেন তিনি। জাতীয় দলে না থাকলে ও সতীর্থদের খবর রাখেন নিয়মিত।
বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে মাশরাফি জাতীয় দলের প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর কড়া সমালোচনা করে বলেন, ‘ও কী কাজ করেছে সেটা তো আমি জানি না। দল যখন সফল হবে অবশ্যই সেটা তার কৃতিত্ব। এটা খুব স্বাভাবিক ইস্যু। আমি ওর সঙ্গে কাজ করিনি। তিনটা ম্যাচ শুধু, তাই কথা বলার সুযোগ কম। তবে যত ম্যাচ আমরা হেরেছি সেই দায়টাও তাকে নিতে হবে। আমরা অনেক ম্যাচ এখানে (মিরপুরে) হেরেছি যেগুলো হারার কথা ছিল না। নিউ জিল্যান্ডে যেটা জিতেছি সেটা আমাদের জেতার কথা ছিল না। এরকমও আছে।’
আরও পড়ুন: বিকল্প থাকলে চাহার ১৪ কোটিতে বিক্রি হতো না
‘সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, খেলোয়াড়দের তাকে নিয়ে অভিযোগ আছে। প্রথম যে জিনিসটা সেটা হচ্ছে, আপনার ড্রেসিংরুম খুশি থাকা। সেটা যদি থেকে থাকে তাহলে ঠিক আছে। আমার কাছে মনে হয়নি সেটা (ড্রেসিংরুম খুশি) । এজন্য খোলা মনে বলেছি সেটা। রাসেল ডমিঙ্গোর বাংলাদেশ ক্রিকেটে সাফল্যের পাল্লা বেশি ভারী নয়। যেটা স্টিভ রোডস বাদ যাওয়ার পরও তার ছিল। একেক কোচের কাছে একেক রকম। বিসিবি যদি তাকে নিয়ে সন্তুষ্ট থাকে তাহলে খুব ভালো। এটা বিসিবির সিদ্ধান্ত।’
মাশরাফি বলেন, ‘সব মিলিয়ে আমি মনে করি… দেখা যাক সামনে কতদূর থাকে। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি যে, ব্যর্থতার পাল্লাটা ওর বেশি। কারণ বাংলাদেশ দল ওই সময়ে নেই যে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে। এখন বাংলাদেশের যারা দর্শক আছে, তারা সফলতা চায়। আপনারাও সফলতা চান। ক্রিকেট বোর্ড সফলতা চায়। সেখানে নতুন কোচ এসে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জায়গা না। বাংলাদেশ ক্রিকেট এখন পারফরম্যান্স দেওয়ার সময়। ওয়ানডে ক্রিকেটে কিন্তু সব মিলিয়ে ৬-৭ বছর ভালো পারফর্ম করে আসছে। অন্যান্য ফরম্যাটে কিন্তু একই অবস্থা।’
আরও পড়ুন: পরিকল্পনার বাস্তবায়ন মাঠে ঘটাতে আহবান সাঙ্গাকারার
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ঘরের মাঠে যেসব ম্যাচ হেরেছি, শেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, আফগানিস্তানের সঙ্গে টেস্ট ম্যাচ… অনেক কিছুই আছে। আমি মনে করি এখন পর্যন্ত ওর পারফরম্যান্স খারাপের দিকেই বেশি। দেখা যাক, দক্ষিণ আফ্রিকায় যদি এক্সট্রা অর্ডিনারি কিছু করে আসে…ওর সংস্কৃতি, ও পরিবেশ জানে, উইকেট জানে। আশা করছি ও একটা বড় ভূমিকা পালন করবে। সেটা করতে পারলে খুবই ভালো হবে।’
বিডি স্পোর্টস নিউজ/জেএ