২০১৪ সালে মিরপুরে তাসকিন তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের অভিষেক ম্যাচে ২৮ রানে নিয়েছিলেন ৫ উইকেট। এরপর ৪৭ ওয়ানডেতে ফাইফারের দেখা পাননি এই পেসার। অবশেষে তার সেই আক্ষেপ ঘুচলো।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আজ সেঞ্চুরিয়ানে আগুন ঝরানো বোলিংয়ে ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বারের মতো ৫ উইকেট তুলে নিয়েছেন তিনি, ৯ ওভার বল করে দিয়েছেন ৩৫ রান।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ আফ্রিকায় তাসকিনের রেকর্ড
৮ বছর আগে সেই অভিষেক ম্যাচে ৮ ওভারে ২৮ রান দিয়ে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন তাসকিন। তার দুর্দান্ত বোলিংয়ে সাজঘরে ফিরিয়েছিলেন রবিন উত্থাপ্পা, চেতেশ্বর পূজারা, আম্বাতি রাইডু, স্টুয়ার্ট বিন্নি ও অমিত মিশ্রা।
এরপর থেকে অফ ফর্ম, ইনজুরি, ফিটনেস ঘাটতিসহ নানা প্রতিকূলতার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে এই টাইগারকে। মনে হচ্ছে সময়ের স্রোতে যেন আমরা হারিয়ে ফেলছি তাকে।
আরও পড়ুন: অলরাউন্ডারদের র্যাঙ্কিংয়ে সেরা দশে মিরাজ
কিন্তু নিজের মধ্যে জেদ চেপে বসা ডানহাতি পেসার তাসকিন পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ পেস আক্রমণের নেতা হয়ে উঠেছেন। টেস্টে আগুন ঝরানো স্পেল দিয়ে দিয়েছেন আগমণী বার্তা।
এবার প্রোটিয়াদের বিপক্ষে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে উড়ন্ত শুরু করা দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটারদের ডানা কেটে দিয়েছেন তাসকিন। একে একে তুলে নিয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ ৫ উইকেট। তার গতিতে পরাস্ত হয়েছে কাইল ভেরেইনা, জ্যানেমাল মালান, ডেভিড মিলার, ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস ও কাগিসু রাবাদাকে।
আরও পড়ুন: অবশেষে দেশে ফিরছেন সাকিব
আজকের দুই ইনিংসের মাঝ বিরতিতে এ ব্যাপারে তাসকিন বলেন, ‘গত দেড়-দুই বছর ধরে একই কাজ করছি। প্রক্রিয়া অনুসরণ করে যাচ্ছি, সেই প্রক্রিয়ায় বিশ্বাস করছি এবং আমার মনে হয় এটাই সাফল্যের কারণ।’
৮ বছর পাঁচ উইকেট, অনুভুতিটা কেমন তাসকিনের? উওরে তাসকিন বলেন, ‘আমি খুবই খুশি। প্রক্রিয়া আর মৌলিক বিষয়গুলো ঠিক রেখেছি। বাস্তবায়ন করতে পেরেছি ভালোভাবে। আলহামদুলিল্লাহ আমি খুশি।’
আরও পড়ুন: লাইভ দেখুন বাংলাদেশ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা ফাইনাল ম্যাচ সরাসরি
তিনি আরও বলেন, ‘কিছু বলে বাড়তি বাউন্স পেয়েছি। তবে লাইন-লেন্থ ঠিক রেখে পরিকল্পনা বাস্তবায়নে মনোযোগী ছিলাম। ক্রস, সেমিক্রসের মিশ্রণ দিয়ে একটু ভেরিয়েশন রাখার চেষ্টা করেছি।’
বিডি স্পোর্টস নিউজ/জেএ