টানা তৃতীয়বারের মতো উইজডেনের ‘লিডিং ক্রিকেটার’ নির্বাচিত হলেন ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলি৷ ২০১৮ সালের অসাধারণ পারফরম্যান্সের উপর ভিত্তিতে সবাইকে পেছনে ফেলে জীতে নেন এই শিরোপা। এদিকে মহিলা ক্রিকেটে ‘লিডিং ক্রিকেটার’ নির্বাচিত হয়েছেন আর এক ভারতীয় তারকা স্মৃতি মন্ধনা৷
গত বছর তিন ফরম্যাটের ক্রিকেটে ২৭৩৫ রান সংগ্রহ করেছেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান কোহলি। ইংল্যান্ড সফরে ব্যাট হাতে দুর্দান্ত ফর্মে ছিলেন কোহলি। পাঁচ টেস্টের সিরিজে ৫৯.৩ গড়ে ৫৯৩ রান সংগ্রহ করেছেন তিনি। পাঁচটি টেস্ট শতক নামের পাশে নিয়ে বছর শেষ করেছেন বিশ্বসেরা এই ব্যাটসম্যান।
কোহলি ব্যতিত শুধু মাত্র দুইজন ক্রিকেটার এই পুরষ্কার তিনবারের বেশি পেয়েছেন। ডন ব্র্যাডম্যান দশ বার এবং জ্যাক হবস আটবার পেয়েছেন উইসডেনের এই পুরষ্কার।
এছাড়া ভারতীয় অধিনায়ক বছরের পাঁচ উইজডেন ক্রিকেটারের একজন হিসেবেও বিবেচিত হয়েছেন। বাকি চার জন হলেন ইংল্যান্ডের নারী ক্রিকেটার ট্যামি বিউমন্ট, পুরুষ দলের ক্রিকেটার জস বাটলার, স্যাম কারান এবং ররি বার্নস।
ইংলিশ মৌসুমে ক্রিকেটারদের পারফর্মেন্সের উপর ভিত্তি করে নির্বাচন করা হয় বছরের পাঁচ উইজডেন ক্রিকেটার। ১৮৮৯ সাল থেকেই ক্রিকেটারদের নাম তালিকাভুক্ত করে আসছে উইজডেন।
কোহলি ছাড়া ভারত থেকে কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকার ও বীরেন্দ্র শেবাগও উইজডেনের ‘লিডিং ক্রিকেটার’এর সম্মান পেয়েছিলেন৷ শচীন ২০১০ সালে এবং বীরু ২০০৮ ও ২০০৯ সালে পর পর দু’বার এই সম্মানে ভূষিত হয়েছেন৷
ভারতের বাইরে শ্রীলঙ্কার কুমার সাঙ্গাকারা দু’বার এই পুরস্কার পেয়েছেন৷ তবে ২০০৩ সালে এই সম্মান প্রদান শুরু হওয়ার পর কোনও ক্রিকেটারই তিনবার লিডিং ক্রিকেটার নির্বাচিত হননি৷ বিরাট সেখানে পর পর তিনবার এই খেতাব জিতলেন৷
চলতি বছর জানুয়ারিতে বাইশ গজে নতুন ইতিহাস লিখেছিলেন বিরাট। আইসিসি-র ত্রিমুকুটে ভূষিত হয়েছিলেন কিং। ইতিহাসের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে আইসিসি-র বর্ষসেরা ক্রিকেটারের (স্যার গারফিল্ড সোর্বাসের নামাঙ্কিত এই পুুরস্কার) পাশাপাশি সেরা ওয়ান-ডে ও টেস্ট ক্রিকেটারের ত্রিমুকুট উঠেছে তাঁর মাথায়। এখানেই শেষ নয়, কিং কোহলি আইসিসি-র বর্ষসেরা ওয়ান-ডে ও টেস্ট টিমের অধিনায়ক হিসেবেও নির্বাচিত হয়েছেন।