মুম্বাইয়ের ওয়াংখেডে স্টেডিয়ামটি ২০১১ সালে ভারতের বিশ্বকাপ জয়ের স্মৃতির সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে। তবে অবৈধ্য ভাবে নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে শচীনের ঘরের মাঠটির বিরুদ্ধে। ফলে ১২০ কোটি টাকা জরিমানার কবলে পড়েছে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম কর্তৃপক্ষ। অনাদায়ে স্টেডিয়ামটি বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।
১৯৭৫ সালে ভারতীয় ক্রিকেটের স্বনামধন্য পরিচালক ও রাজনীতিবিদ এসকে ওয়াংখেডে মুম্বাই শহরের বিখ্যাত এই স্টেডিয়ামটি নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছিলেন। আদতে মুম্বাই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন-এর নিজস্ব একটি ভেন্যু করার পরিকল্পনা থেকেই এই স্টেডিয়াম তৈরি করা হয়েছিল। ওয়াংখেডে স্টেডিয়ামটি যে স্থানে তৈরি, সেটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে ৫০ বছরের জন্য ইজারা নিয়েছিল মুম্বাই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন। সেই চুক্তি শেষ হয়ে গিয়েছে ২০১৮ সালে। এরপরও স্টেডিয়াম তৈরির জায়গায় ফের অবৈধভাবে একটি ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। আর সেটি হল বিসিসিআইয়ের সদর দফতর।
মহারাষ্ট্রের সরকারের তরফে এমসিএ-কে পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ”জরিমানার টাকা শোধ করতে না পারলে ওয়াংখেডে স্টেডিয়াম বন্ধ করে দিতে হবে। সংশ্লিষ্ট দফতরের এক কর্তা জানিয়েছেন, এমসিএ চুক্তি বাড়ানোর আবেদন করেছে। কিন্তু আগে তাদের বাজারদর মেনে বকেয়া সব পাওনা পরিশোধ করতে হবে। বিসিসিআই-এর সদর দপ্তর তৈরির অনুমতি ছিল কিনা সেটাও আমরা খতিয়ে দেখছি।” যদিও এমসিএ-র তরফে জানানো হয়েছে, তারা এই ব্যাপারে অবগত ছিলেন না।