ঘরের মাঠে পঞ্জাবকে ৭ উইকেটে হারিয়ে প্লে-অফে যাওয়ার আশা জিইয়ে রাখল কলকাতা। মোহালির আইএসবিন্দ্রা স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাটিং করে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৮৩ রান করে অশ্বিনের দল। জবাবে ১৮৪ রান তাড়া করে কলকাতা দুই ওভার বাকি থাকতেই ৩ উইকেট হারিয়ে ১৮৫ রান বানায় নাইট বাহিনী।
এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে স্যাম কুরান ও নিকোলাস পূরনের দাপটে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব ৬ উইকেটে ১৮৩ রান করে। উদ্ধোধনী জুটিতে কে এল রাহুল (২) ও ক্রিস গেইল (১৪) শুরুতেই ফিরে যান। ময়াঙ্ক আগরওয়াল ৩৬ রান করেন। এরপর ক্যারিবিয়ান ব্যাটসম্যান পূরণ ২৭ বলে ৪৮ রান করে দলের ইনিংসে গতির সঞ্চার করেন। তৃতীয় উইকেটে পূরণ ও ময়াঙ্কের জুটিতে ৬৯ রান যোগ হয়। এরপর ইংরেজ ব্যাটসম্যান কুরান ২৪ বলে ৫৫ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন। ফলে দলের স্কোর ১৮০ রানের গণ্ডি ছা়ড়ায়।
কেকেআরের সন্দীপ ওয়ারিয়র ৩১ রানে ২ উইকেট নেন। তিনিই ফেরান পঞ্জাবের দুই ওপেনারকে।
ডু অর ডাই ম্যাচে রান তাড়া করতে নেমে কলকাতা নাইট রাইডার্স অসাধারণ শুরু করে। ওপেন করেন শুভমান গিল ও ক্রিস লিন। লিন প্রথমে ধরে খেললেও মাত্র ২২ বলে ৪৬ রানের বিস্ফোরক ব্যাটিং উপহার দিয়ে যান। তিন নম্বরে নামা রবিন উথাপ্পা ১৪ বলে ২২ করেন। চার নম্বরে নামা আন্দ্রে রাসেল করেন ১৪ বলে ২৪ রান। যার ফলে রান তাড়া করতে নেমে কলকাতার ওপর সেভাবে কোন বড় চাপ পড়েনি। শেষ থেকে অধিনায়ক দীনেশ কার্তিক মাত্র ৯ বলে ২১ রানে অপরাজিত থাকেন। এবং ওপেন করতে নামা শুভমান গিল ৪৯ বলে ৬৫ রান করে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন।
শেষ থেকে অধিনায়ক দীনেশ কার্তিক মাত্র ৯ বলে ২১ রানে অপরাজিত থাকেন। এবং ওপেন করতে নামা শুভমান গিল ৪৯ বলে ৬৫ রান করে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। কলকাতা ১২ বল বাকি থাকতে সাত উইকেটে জিতে নেয়। পাঞ্জাবের হয়ে কোনও খেলোয়াড়ই সেভাবে ছাপ ফেলতে পারেননি। মুহাম্মদ শামি, রবীচন্দ্রন অশ্বিন ও অ্যান্ড্রু টাই একটি করে উইকেট নেন। একমাত্র শামি তিন ওভারে ১৫ রান দিয়ে একটি উইকেট পান।
এদিন জয়ের ফলে কলকাতা ১৩ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে লিগ তালিকায় পঞ্চম স্থানে উঠে এল। পরের ম্যাচটি জিততে পারলে এবং একই সঙ্গে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ পরের ম্যাচে ব্যাঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে হারলেই কলকাতার প্লে অফে যাওয়া প্রায় নিশ্চিত হয়ে যাবে।