ত্রিদেশীয় সিরিজে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। এই ম্যাচে আয়রিশরা প্রথমে ব্যাট করে উইলিয়াম পোর্টারফিন্ডের ৯৪ ও পল স্টারলিংয়ের ১৩০ রানের সুবাদে ৮ উইকেটে ২৯২ রান তুলল। এই ম্যাচ বাংলাদেশের হয়ে ৫ উইকেট নিয়েছেন রাহি।
ডাবলিনে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় আয়ারল্যান্ড। এদিন একাদশে তিনটি পরিবর্তন নিয়ে খেলতে নামে বাংলাদেশ। শুরুটা ভালোই ছিল বাংলাদেশের। চতুর্থ ওভারের শেষ বলেই সফলতা পায় বাংলাদেশ।
দলীয় ২৩ রানে উদ্ধোধনী ব্যাটসম্যান জেমস ম্যাককালাম ৫ রানে ফিরিয়ে দেন রুবেল হোসেন। দ্বিতীয় উইকেটে ব্যাট করতে আসা অ্যান্ডি বালব্রিনিকে ২০ রানে ফিরিয়ে দিয়ে ক্যারিয়ারের অভিষেক উইকেট তুলে নেন আবু জায়েদ রাহী।
দলীয় ৫৯ রানে দলের হাল ধরেন স্টারলিং ও পোটারফিল্ড। এই জুটিতে বাংলাদেশ বোলারদের হতাশায় ডুবিয়ে তৃতীয় উইকেটে ১৭৪ রান যোগ করেন। ইনিসের ৪৫তম ওভারে এই জুটির পোটারফিল্ডকে লিটনের হাতে ক্যাচ বানিয়ে নিজের দ্বিতীয় উইকেট তুলে নেন রাহি।
পোটারফিল্ড ১০৬ বল থেকে ৭টি চার ও ২টি ছক্কায় ৯৪ রান করেন। ৪৭তম ওভারের জোড়া আঘাত হানেন রাহি। প্রথমে দলীয় ২৬৩ রানে কেবিন ওব্রাইন তামিমের হাতে ৩ রানে প্যাভিলনে ফেরেন।
পরের বলেই রাহি বিদায় করেন সেট ব্যাটসম্যান স্টারলিংকে। তিনি ১৪১ বলে ৮টি চার ও ৪টি ছক্কায় ১৩০ রান করে লিটনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। তবে রাহি এখানেই থামেননি। ২৮৭ রানে গ্যারি উইলিয়ামসনকে ক্যাচ বানিয়ে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচেই ৫ উইকেট তুলে নেন।
৫০তম ওভারে সাইফুদ্দীন জোড়া উইকেট তুলে নিলে ২৯২ রানে শেষ হয় আয়ারল্যান্ডের ইনিংস।
এদিন বাংলাদেশের হয়ে রাহি ৯ ওভারে ৫৮ রান দিয়ে ৫ উইকেট নেন। সমান ওভারে ৪৩ রানে নেন ২টি উইকেট। এছাড়া ৭ ওভারে ৪১ রানে নেন ১টি উইকেট।