প্রথম দুই ম্যাচ জিতে সিরিজের ট্রফি আগেই নিশ্চিত করে রাখলেও তৃতীয় ম্যাচের ছিল বাড়তি গুরুত্ব। শেষ ম্যাচে জিতলে বিশ্বকাপ সুপার লিগের আরও ১০ পয়েন্ট তো পেতোই সাথে পাকিস্তানকে টপকে আইসিসি ওয়ানডে র্যাংকিংয়েও ছয়ে উঠে যেতো টাইগাররা। কিন্তু সাগরিকায় টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৪৬.৫ ওভারেই অলআউট হয়ে যায় তারা। আফগানিস্তানকে সহজ ১৯২ রানের লক্ষ্য দেয় বাংলাদেশ।
আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান লিটন দাস এম্যাচেও ছিলেন উজ্জ্বল। সতীর্থদের যোগ্য সমর্থন না পেলেও একাই দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে যান। ১১৩ বলে ৭টি চারে গড়া তার ৮৬ রানের ইনিংস তার প্রমান। অন্যাদের মধ্যে সাকিব ৩৬ বলে ৩০ রান করেন আর রিয়াদ ৫৩ বলে ২৯ রান।
আফগানিস্তানের হয়ে রশিদ খান তিনটি ও মোহাম্মদ নবী দুটি উইকেট লাভ করেন।
জয়ের জন্য ছোট লক্ষ্যে খেলতে নেমে ৭৯ রানের উদ্বোধনী জুটি পায় আফগানরা। ৪৯ বলে ৩৫ রান করে রিয়াজ আউট হলে রহমানউল্লাহ-রহমত শাহ ১০০ রানের জুটি গড়েন। ১১০ বলে ১০৬ রানে অপরাজিত গুঁরবাজ তুলে নেন ক্যারিয়ারের তৃতীয় শতক।
অবশেষে ৪০.১ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় আফগানিস্তান। বাংলাদেশের পক্ষে মেহেদী মিরাজ দুটি ও সাকিব একটি উইকেট লাভ করেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: বাংলাদেশ : ১৯২/১০ (৪৬.৫ ওভার)(লিটন ৮৬, সাকিব ৩০, রিয়াদ ২৯* রশিদ ৩৭/৩, নবী ২৯/২)
আফগানিস্তান : ১৯৩/৩ (৪০.১ ওভার) (গুরবাজ ১০৬*, রহমত ৪৭, রিয়াজ ৩৫ মিরাজ ৩৭/২, সাকিব ৪৭/১)
ফলাফলঃ আফগানিস্তান ৭ উইকেটে ম্যাচে জয়ী, বাংলাদেশ ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জয়ী।