মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টে ২য় ও ৩য় দিনের মতো ৪র্থ দিনটিও নিজেদের করে নিয়েছেন টাইগাররা। পেসার ইবাদত হোসেনের ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে নিউজিল্যান্ড সফরে জয়ের স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ।
বল হাতে একাই কিউই শিবিরের ধস নামিয়ে দিয়েছেন ইবাদত। শেষ বিকালে মাত্র ২ ওভারের ব্যবধানে ৩ উইকেট নেন ডানহাতি এই পেসার। আর লিটন দাস মনে করেন ইবাদত নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছে এই টেস্টে।
ডানহাতি এই পেসারকে নিয়ে লিটন বলেন, ‘আমাদের বোলাররা সবাই পরিকল্পনা অনুযায়ী একই লেন্থে বল করেছে। ইবাদত আজ দুর্দান্ত ছিল। ওর দুটো স্পেলই চমৎকার ছিল। সে একই জায়গায় বল করার কারণে অনেক সহায়তা পেয়েছে। তার ব্রেক থ্রু আমাদের দলকে প্রেরণা যুগিয়েছে। তবে আমরা অতিরিক্ত উত্তেজিত নই। আমাদের এখনো পাঁচ উইকেট নিতে হবে, যত কম রান দেয়া যায়, এই রানটা আমাদের তাড়া করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আজ উইকেটে বল কিছুটা নিচে এবং কিছু বল পিছলে যাচ্ছিল। যে জায়গাটায় বল করলে বলের গতিটা এভারেজে ১৩৮-১৪০’র মধ্যে থাকে, ইবাদতের পরিকল্পনা ছিল সেখানে বল করা। যদি আপ অ্যান্ড ডাউন করে তাহলে লেগ বিফোর বা বোল্ডের চান্স থাকবে। আর এই জিনিসটা আমরা তাকে বলছিলাম পেছন থেকে। যেমন শান্ত বারবার বলছিল যে জোরে জোরে। কারণ ও যত জোরে বল করছিল, উইকেট থেকে তত সহায়তা পাচ্ছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘খেলোয়াড়দেরকে সুযোগ দিতে হবে। দেখেন, আমরা যখন টেস্ট খেলি, কতদিন পরপর খেলি। ইবাদত একটা সংস্করণেই খেলে, অনেক সময় বাংলাদেশে খেলা হলে খেলে আবার খেলে না। এই জিনিসগুলা মাথায় রাখতে হবে যে একজন পেসারের জন্য সবসময় সব কিছু অনুকূলে থাকে না। তার বোলিং গড় ও ইকোনোমি একটু বেশি ছিল, কিন্তু ভালো বোলারের যোগ্যতা আজ প্রমাণ করেছে সে। সামনেও সে প্রমাণ করবে, এই বিষয়ে আমি বেশ আশাবাদী। আমার মনে হয় তাকে একটু সময় দেয়া উচিত। আমার মনে হয় আমি যা দেখলাম, ওর ম্যাচ ১১টা কি ১২টা। আমার মনে হয় একটা টেস্ট খেলোয়াড়ের ১৫-১৭ ম্যাচ লাগে তার অভিজ্ঞতা আনতে, ক্রিকেট বুঝতে। তাই আমার মনে হয় ওই সময়টা তাকে দেয়া উচিত।’