টানা তিন ম্যাচে জয়ের দ্বারা ধরে রেখেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। টাইগারদের সামনে পাত্তাই পেল না ক্যারিবীয়রা। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে হারে তারা। সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে ১২২ ও ১৪৮ রান করে ৬ ও ৭ উইকেটে হারে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
সোমবার (২৫ জানুয়ারি) সিরিজের শেষ ম্যাচে হোয়াইটওয়াশ এড়াতে নেমে ২৯৮ রানের টার্গেট তাড়ায় ১৭৭ রানে অলআউট হয় সফরকারীরা। ১২০ রানের জয় পায় বাংলাদেশ দল।
সোমবার সিরিজের শেষ ম্যাচে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ৬৪ রান, মুশফিকুর রহিম ৬৪ রান, তামিম ইকবাল ৬৪ রান ও সাকিব আল হাসানের ৫১ ফিফটিতে ভর করে ২৯৭ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে বাংলাদেশের টাইগাররা।
জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ৭ রানে উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল। সিরিজের ৩ ম্যাচেই বাংলাদেশ দলকে ব্রেক থ্রু উপহার দেন মোস্তাফিজুর রহমান। তার শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন কেজর্ন ওটলি। তার আগে প্রথম দুই ম্যাচে দলীয় ৯ ও ১০ রানে ক্যারিবীয় ওপেনার সুনীল অ্যামব্রিসকে ফেরান মুশফিক।
এরপর দলীয় ৩০ রানে ওয়েস্ট ইন্ডিজ শিবিরে ফের আঘাত হানেন কাটার মাস্টার মোস্তাফিজুর। তার দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন সুনীল অ্যামব্রিস। এর আগের ম্যাচেও মোস্তাফিজের শিকারে পরিণত হওয়ার আগে ৭ ও ৬ রানে আউট হওয়া এই ওপেনার এদিন ফেরেন ১৩ রানে।
৩০ রানে দুই ওপেনারের উইকেট হারানো ওয়েস্ট ইন্ডিজ খেলায় ফেরার আগেই হারায় ৩য় উইকেট। দলীয় ৪৮ রানে অফ স্পিনার মিরাজের শিকার হয়ে মাত্র ১১ রান নিয়ে সাজঘরে ফেরেন মায়ার্স।
এরপর ৪৬ রানের ব্যবধানে ২ উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দলীয় ৭৯ রানে আউট হন অধিনায়ক জেসন মোহাম্মদ। তার আগে ৩৬ বল খেলে করেন ১৭ রান। দলের ব্যাটিং বিপর্যয়ে হাল ধরার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন এনকেরুমা বোর্ন। ৬৬ বলে ৩১ রান করা এই ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে ফেরান মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।
৫ রানে মিরাজের ২য় শিকারে পরিনত হন হ্যামিল্টন। দুর্দান্ত খেলতে যাওয়া রোভম্যান পাওয়েলকে আউট করেন সৌম্য। এর আগে ৪৯ বলে দুই চার ও দুই ছক্কায় দলীয় সর্বোচ্চ ৪৭ রান করে ফেরেন তিনি।
১১ রানে রান আউট হন আলজারি জোসেফ। আকিল হোসেনকে রানের খাতা খুলতে দেননি সাইফউদ্দিন। ৪৬ বলে ২৭ রান করা রায়মন রেফারকে ফেরান তাসকিন।