দক্ষিণ আফ্রিকা দলের অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিস বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে হারের পেছনে ইংল্যান্ডের দাপুটে পারফর্মেন্সকেই কৃতিত্ব দিয়েছেন।
ওভালের মাঠে ১০৪ রানের বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ইয়ন মরগানরা। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে ১০৪ রানের বড় ব্যবধানে জয় পেয়েছে স্বাগতিক ইংল্যান্ড।
টসে হেরে আগে ব্যাট করে ইংল্যান্ড ৩১১ রানের স্কোর গড়ে। ওপেনার জেসন রয়, তিন নম্বরে নামা জো রুট ও অধিনায়ক ইয়ন মরগান ফিফটি হাঁকিয়েছে। তবে পুরো ইনিংস জুড়ে দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন সর্বোচ্চ ৮৯ রান করা বেন স্টোকস।
ওভালের ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে জয়ের সুযোগ ছিল দক্ষিণ আফ্রিকারও। টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানরা ভালো সূচনা এনে দিতে সক্ষম হলেই যে কোনো কিছু হতে পারত।
সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি প্রোটিয়ারা। ডি কক অর্ধশত হাঁকালেও লিয়াম প্লাংকেটের বলে আউট হওয়ার পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ২০৭ রানে অল আউট হয় দক্ষিণ আফ্রিকা।কিন্তু ইংল্যান্ডের জফরা আর্চার ভিন্ন চিন্তা লালন করছিলেন। বাউন্সারে ওপেনার হাশিম আমলাকে রিটায়ার্ড হার্ট হতে বাধ্য করেন তিনি। দ্রুত তুলে নেন ভালো খেলতে থাকা এইডেন মার্করামকে। কাপ্তান ফাফ ডু প্লেসিসকেও বাউন্সারের ফাঁকে ফেলে থার্ড ম্যানের ক্যাচে পরিনত করেন তিনি।
আমরা ১২ ওভারেই তিন উইকেট হারিয়ে ফেলেছিলাম। এখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানো মুশকিল,’ ম্যাচ শেষে বলেছেন ফাফ ডু প্লেসিস। ‘আমরা তিন বিভাগেই ইংল্যান্ড থেকে অনেকটা পিছিয়ে ছিলাম।
তবে ইংল্যান্ডের মত দলকে ভালো উইকেটে ৩১১ রানে আটকে ফেলায় ইতিবাচক দিক খুঁজে পেয়েছেন প্রোটিয়া কাপ্তান।
‘দুই ওপেনারকে লেগ স্পিন দিয়ে শিকার করতে চেয়েছিলাম আমরা, বিশেষ করে জেসন রয়। আমাদের ডেল স্টেইন আছে, পেস বোলিংয়ে শক্তি আছে বড় স্কোর থামানোর।‘ ৩৩০-৩৪০ রান করার পথে ছিল ওরা। আমরা স্লো বল করে রান থামিয়েছি। আর শুরুতে তাহিরকে দিয়ে বল করানো সফল হয়েছে।
দক্ষিণ আফ্রিকা দলের অধিনায়ক নিশ্চিত করেছেন মাথায় আঘাত পাওয়া হাশিম আমলা নিয়েই শঙ্কা কেটে গেছে ।