যদিও ইমরান খান এখন রাজনীতিবিদ হিসেবেই বিশ্বে সবচেয়ে বেশি পরিচিত। কিন্তু, তার প্রথম পরিচয় একজন ক্রিকেটার হিসেবে। এমনকি রাজনীতিতে আসতেও ক্রিকেটকেই মোক্ষম অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেছেন সাবেক এই অধিনায়ক। পাকিস্তানের একমাত্র বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক এখন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী।
কথায় আছে ঢেকি স্বর্গে গেলেও ধান ভাঙে। ইমরান খানের ব্যাপারটাও অনেকটাই সেরকম। মাঝেমধ্যেই পাকিস্তানী ক্রিকেট নিয়ে বিভিন্ন কথা বলে আলোচনায় আসেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন তো কি হয়েছে; ক্রিকেট তো আছে তার রক্তে। তাইতো ঠিকই খোঁজখবর রাখছেন দেশের ক্রিকেটের। বিশ্বকাপে পাকিস্তানের ব্যর্থতা দেখেছেন টিভির সামনে বসেই।
আর সে কারণেই ব্যর্থ পাকিস্তানকে বদলে দিতে সাহসী ঘোষণা দিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। তিন দিনের সফরে এইমুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করা ইমরান খান রবিবার ওয়াশিংটনে এক জলসা অনুষ্ঠানে ঘোষণা দেন, ‘পাকিস্তান ক্রিকেটকে বদলে দেব।’
ইমরান বলেন, ‘আমি ইংল্যান্ডে গিয়েছি, যেখানে আমি ক্রিকেটটা খেলতে শিখেছি। যখন আমরা সেখান থেকে ফিরি, অন্য খেলোয়াড়দের স্ট্যান্ডার্ডের বিষয়টি উঠে এসেছে। বিশ্বকাপের পর তাই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, পাকিস্তান ক্রিকেটে হাত দেব।’
দলকে সাফল্যের শিখরে তোলার অঙ্গীকার করে সাবেক পাকিস্তানী অধিনায়ক বলেন, ‘আগামী বিশ্বকাপে আপনারা যে দলকে দেখবেন, আমার কথাটা মনে রাখুন-সে দলটি হবে পেশাদার একটা দল। আমরা এই পদ্ধতি পরিবর্তন করব এবং সেরা প্রতিভাকেই সামনে নিয়ে আসব।’
সদ্য সমাপ্ত বিশ্বকাপে প্রথমপর্ব থেকেই বাদ পড়া পাকিস্তান কোনোরকমে পঞ্চম স্থান নিশ্চিত করে। কিন্তু পুরো বিশ্বকাপ আসরেই পাকিদের পারফরম্যান্স ছিল হতাশাজনক।