গতকাল(সোমবার) ঢাকা ডায়নামাইটস, খুলনা টাইটান্স ও রাজশাহী কিংসের পর আজ রংপুর ফ্রাঞ্চাইজির সঙ্গে বৈঠকে বসেছিল বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল। তবে চার ফ্রাঞ্চাইজির কেউই বিপিএল ঢেলে সাজানোর(চুক্তি, নিবন্ধন, বাইলজ, প্লেয়িং কন্ডিশন ও অন্যান্য নিয়ম-কানুন) পক্ষে রায় দেয়নি।
ফ্রাঞ্চাইজিগুলোর দাবী তারা অন্তত দুজন বিদেশি আর একজন আইকন বা এ প্লাস ক্যাটাগরির পারফরমার আগে থেকে দলে রাখার নিশ্চয়তা চায়। সুতরাং সংখ্যাগরিষ্ঠতার দিক দিয়ে বিচার করলে সিদ্ধান্তটি হয়তো শেষ অবদি মেনে নিতে হতে পারে বিপিএল কমিটিকে।
এমনটি হলে আগেই আইকন ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের সঙ্গে চুক্তি করে ফেলা রংপুর রাইডার্সের জন্য হবে সোনায় সোহাগা। তবে সাকিব যদি রংপুরের আইকন ক্রিকেটার হন তাহলে মাশরাফির কি হবে?
তাহলে তো আইকন ক্রিকেটার মাশরাফিকে নতুন দল খুঁজতে হবে। তবে মাশরাফিকেও দলে রাখতে চান রংপুর রাইডার্সের কর্ণধার ইশতিায়াক সাদেক। তবে এটা কিভাবে সম্ভর আর যাই হোক এক দলে দুই আইকন ক্রিকেটার খেলানোর অনুমতি বিপিএল কমিটি কখনোই দেবে না এটা সবারই জানা। তাহলে রংপুরের এমন চিন্তা-ভাবনার কারণ কি?
এ বিষয়ে রংপুর সিইও ইশতিয়াক সাদেক বলেন, ‘মাশরাফি তো আমাদের ঘরের ছেলে। আমি যতটুকু জানি মাশরাফি যদি অবসর নেয় (বিপিএলের আগেই), তাহলে সে আইকন থাকবে না। আমাদের চিন্তা ছিল আমাদের রিটেনশনে মাশরাফিও পড়ে যায়। তবে মাশরাফি-সাকিব দুজনেই রংপুরে খেলবে।’
তিনি বোঝাতে চেয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক হওয়ায় মাশরাফি আইকন ক্রিকেটার হিসেবে বিপিএল খেলছেন। তবে বিপিএল আসর শুরু হওয়ার আগেই যদি মাশরাফি অবসর নেন তাহলে তার আইকন ক্রিকেটার থাকার সম্ভাবনা কমে যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে মাশরাফি নতুন আসরে এ ক্যাটাগরিতে থাকতে পারেন। তাহলে মাশরাফিকে রিটেনশনে রেখে দেবেন রংপুর সিইও।