নটিংহ্যামের টেন্ট্র ব্রিজে প্রথমে ব্যাট করে ৫ উইকেট হারিয়ে ৩৮১ রান তুলেছে অস্ট্রেলিয়া। সেই রান তাড়া করতে নেমে ৮ উইকেটে ৩৩৩ রানে শেষ হলো বাংলাদেশের ইনিংস। ৪৮ রানের ব্যবধানে জয় পেলো অস্ট্রেলিয়া। বাংলাদেশের হয়ে মুশফিকুর রহিম বিশ্বকাপ ইতিহাসে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ১০২ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন।
বড় রান তাড়া করতে আর উদ্ধোধনী জুটিতে তামিম ও সৌম্যের বড় রান পাওয়ার বিকল্প ছিল না । কিন্তু ইনিংসের চতুর্থ ওভারে তামিমের সঙ্গে ভুল বোঝা বুঝিতে রান আউট হন সৌম্য। ফিঞ্চের অসাধারণ এক থ্রোতে নন স্টাইকে থাকা সৌম্য ৮ বল থেকে ১০ রান করে বিদায় নেন।
তবে দ্বিতীয় উইকেটে তামিম ও সাকিব সেই ধাক্কা সামলে ওঠে বাংলাদেশ। এই জুটিতে দলীয় সংগ্রহ শতক পেরোয় বাংলাদেশের। তবে এরপরই সাকিবের মহা মূল্যবান উইকেটটি তুলে নেন স্টনিস। সাকিব ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে ৪১ বল থেকে ৪টি বাউন্ডারিতে ৪১ রান করেন তিনি।
এরপর তামিম সঙ্গ পান মুশফিকের। তবে এই জুটিতে খুব বেশি দূর যেতে পারেননি বাংলাদেশ। ৬৫ বল থেকে হাফসেঞ্চুরি করা তামিমকে বোল্ড আউট করেন স্টার্ক। তামিম প্যাভিলনে ফেরার আগে ৭৪ বল থেকে ৬টি বাউন্ডারিতে ৬২ রান করেন তামিম।
চতুর্থ উইকেটে মুশফিক ও লিটনের ব্যাটে ইনিংস সর্বোচ্চ ১২৭ রান তোলে বাংলাদেশ। দলীয় সংগ্রহ যখন ৩০২ তখন এই জুটির মাহমুদুল্লাহকে বিদায় করেন। মাহমুদুল্রাহ ৫০ বল থেকে ৫টি বাউন্ডারি ও ৩টি ওভার বাউন্ডারিতে ৬৯ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলেন।
মাহমুল্লাহর বিদায়ের পরের বলেই গোল্ডেন ডাক নিয়ে সাজ ঘরে পথে হাটা দেন।
এরপর বাংলাদেশে একমাত্র চাওয়া ছিল মুশফিকের সেঞ্চুরি। ৯৫ বল থেকে সেটি তিনি তুলে নেন। ৯৭ বল থেকে ১০২ রানে অরপাজিত থাকেন তিনি। তার ইনিংসটি ৯টি চার ও ১টি ছক্কায় সাজানো ছিল।
ইনিংসের শেষ বলে ক্যাচ আউট হন মাশরাফি(৬)। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ৩৩৩ শেষ হয় তাদের ইনিংস।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে স্টার্ক, কুল্টার নাইল ও স্টনিস দুটি করে উইকেট নেন। জাম্ফা নেন ১টি উইকেট।