ঐতিহাসিক লর্ডসে সুপার ওভারে নিউজিল্যান্ডকে ১ রানে হারিয়ে বিশ্বকাপ শিরোপা জিতে নিলো ইংল্যান্ড। নির্ধারিত ৫০ ওভারে দুই দলই ২৪১ রান থামে। ফলে সুপার ওভারে গোড়ায় ম্যাচ। সেখানেও টাই হওয়ায় দু’দলের বাউন্ডারি হিসেব করে ট্রফির উদযাপনে মাতে ইংলিশরা। বিশ্বকাপে তৃতীয়বার স্বাগতিক দেশ হিসেবে শিরোপা জেতার স্বাদ পেলো ইংল্যান্ড।
শিরোপা জয়ের ম্যাচে ষষ্ঠ ওভারে এসে প্রথম ধাক্কা খায় স্বাগতিক ইংল্যান্ড।উদ্ধোধনী ব্যাটসম্যান জেসন রয় ফেরেন ২০ বল থেকে ১৭ রান করে। ম্যাট হেনরির বলে ক্যাচ দিয়ে আউট হন তিনি। সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৮৫ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে দলের জয়টা সহজ করে দিয়েছিলেন তিনিই। তবে আজ সেটা পারেননি।
দ্বিতীয় উইকেটে বোয়াস্ট্রোকে সঙ্গ দিতে আসেন জো রুট। তবে এই জুটিতে ৩১ রানের বেশি তুলতে পারেনি ইংল্যান্ড। দলীয় ৫৯ রানে গ্রান্ডহোম রুটকে ব্যক্তিগত ৭ রানে উইকেটের পেছনে ল্যাথামের হাতে ক্যাচ বানিয়ে প্যাভিলনে ফেরত পাঠান।
রুটের বিদায়ের পর ক্রিজে বেশি সময় স্থায়ী হননি ছন্দে থাকা বোয়ারস্ট্রো। দলীয় ৭১ রানে ফারগুসনের বলে বোল্ড আউট হন তিনি। আউট হওয়ার আগে তিনি ৫৫ বল থেকে ৩৬ রান করেন।
দলীয় ৮৬ রানে মরগানকে বিদায় দেন জিমি নিশাম। যা নিউজিল্যান্ডকে ম্যাচে বেশ শক্তিশালী অবস্থানে নিয়ে যায়। তবে পঞ্চম উইকেটে স্টোকস ও বাটলারের ১১০ রানের জুটিতে ম্যাচে ফিরে আসে ইংল্যান্ড।
দলীয় ১৯৬ রানে ৫৯ করা বাটলারের উইকেট তুলে নেন ফাগুসন। এ সময় ইংলিশদের ম্যাচ জিততে ৩১ বল থেকে প্রয়োজন ছিল ৪৬ রান। তবে ক্রিজে স্টোকসের উপস্থিতি তাদের সাহস যোগাচ্ছিল।
তবে স্টোকস ক্রিজে এক প্রান্ত আগলে রাখলেও বাকিরা আসা যাওয়ার মিছিলে যোগ দেন। বাকি ৪৫ রান তুলতেই শেষ পাঁচটি উইকেট হারায় ইংলিশরা।
যেখানে ৫০তম ওভারের প্রয়োজন ছিল ১৫ রান। তবে প্রথম চারটি বল থেকে আসে ১২ রান। শেষ দুই বলে ৩ রান নিতে পারলেই জিতে যেত ইংল্যান্ড। তবে স্টোকস শেষ দুটি বল থেকে ২ রানের বেশি নিতে পারেনি। ফলে নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ১০ উইকেটে হারিয়ে ২৪১ রানে শেষ হয় ইংল্যান্ডের ইনিংস। তাই ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে।
নিউজিল্যান্ডের হয়ে ফারগুসন এবং নিশাম ৩টি করে উইকেট নেন। হেনরি ও গ্রান্ডহোম ১টি করে উইকেট নেন।
সুপার ওভারে প্রথমে ব্যাট করে ইংল্যান্ড। তাদের হয়ে ক্রিজে আসেন স্টোকস ও বাটলার। তারা দুজনে মিলে ৬ বল থেকে ১৫ রান সংগ্রহ করেন। দুই ব্যাটসম্যানই একটি করে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে স্টোকস ৮ ও বাটলার করেন ৭ রান।
বিশ্বকাপের শিরোপা জিততে ১৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ক্রিজে আসেন নিশাম ও গাপটিল। নিশাম প্রথম পাঁচটি বল খেলে তোলেন ১৪রান। শেষ বলে ম্যাচ জিততে নিউজিল্যান্ডকে করতে হতো ২ রান। কিন্তু গাপটিল ১ রানের বেশি নিতে পারেনি। ফলে সুপার ওভারে টাই হলে ম্যাচে বাউন্ডারির হিসেবে বিশ্বকাপ জিতে নেয় ইংল্যান্ড।