মালদ্বীপ আমাদের বন্ধু ও প্রতিবেশী রাষ্ট্র। যুব ও ক্রীড়ার উন্নয়নে বাংলাদেশ এবং মালদ্বীপ একযোগে কাজ করতে পারে। এমনকি বাংলাদেশে স্পোর্টস ট্যুরিজম বিকাশে সহযোগিতা করবে মালদ্বীপ।
মঙ্গলবার দুপুরে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বাংলাদেশে সফররত মালদ্বীপের উপ-রাষ্ট্রপতি ফয়সাল নাসিমের সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশগ্রহণ শেষে এ কথা জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল এমপি।
প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, মালদ্বীপের স্পোর্টস ট্যুরিজম বিষয়ে ভালো অভিজ্ঞতা রয়েছে। আমরা তাদের সে অভিজ্ঞতা বাংলাদেশে কাজে লাগাতে চাই। বাংলাদেশ শুধু নদীমাতৃক দেশই নয়, আমাদের পর্যটন নগরী কক্সবাজারে রয়েছে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত।
এখানে আমরা স্পোর্টস ট্যুরিজমকে গড়ে তুলতে চাই। এটি অবশ্যই আমাদের দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে। আমরা ইতিমধ্যে নিয়মিত কক্সবাজারে বিচ ফুটবল ও বিচ ভলিবলের আয়োজন করছি।’
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ বর্তমানে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের সুবিধা ভোগ করছে। দেশের এক-তৃতীয়াংশই যুবসমাজ। এই বিশাল সংখ্যক তরুণ জনগোষ্ঠীকে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তরের লক্ষ্যে আধুনিক ও সময়োপযোগী প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। প্রশিক্ষিত ও দক্ষ এ জনশক্তি মালদ্বীপে রফতানির মাধ্যমে উভয় দেশ উপকৃত হতে পারে।
এছাড়া দুই দেশের মধ্যে প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন যুব বিনিময় কর্মসূচি বাস্তবায়নের মাধ্যমে যুব উন্নয়নে উভয় দেশ দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারে।’
মালদ্বীপের উপ-রাষ্ট্রপতি ফয়সাল নাসিম বাংলাদেশের ক্রিকেটের উন্নয়নে ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং মালদ্বীপে ক্রিকেটের উন্নয়নে বাংলাদেশের সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে মালদ্বীপ সফরের আমন্ত্রণ জানান। একই সঙ্গে বাংলাদেশ থেকে অভিজ্ঞ ক্রিকেট কোচ ও অভিজ্ঞ খেলোয়াড় প্রেরণের অনুরোধ জানান।
এ বিষয়ে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের বিষয়ে তিনি আগ্রহ প্রকাশ করেন। এছাড়া ফুটবল, টেবিল টেনিস, বাস্কেটবল, ব্যাডমিন্টন, কারাতে, জুডো, তায়কান্দো, সার্ফিংসহ অন্যান্য খেলায়ও বন্ধুপ্রতীম দুই দেশের মধ্যে প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন ক্রীড়া বিনিময় কার্যক্রম চালুর পরিকল্পনা জানান। দুই দেশের মধ্যে খেলোয়াড়, কোচ ও বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা আয়োজনের উদ্যোগ গ্রহণের কথা জানান।