সিলেট স্ট্রাইকার্সের মালিকানা নিয়ে নাটকীয়তার পর এবারো আবারো মুখ খুললেন দলটির সাবেক মালিক সারোয়ার চৌধুরী। দাবি করেছেন, তিনি কখনই বলেননি দলের মালিকানা এখন মাশরাফির নামে। তবে তিনি যে অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে, তা মাশরাফির প্ররোচনায়, মাশরাফির উপস্থিতিতেই ঘটেছে বলে ফের দাবি করেছেন সারোয়ার।
আরও পড়ুন: প্রথম ম্যাচ জিতে দারুণ উচ্ছ্বসিত বাংলাদেশ
অস্ত্র ঠেকিয়ে জোর করে সিলেট স্ট্রাইকার্সের বড় একটি অংশের মালিকানা নেওয়ার অভিযোগে সারোয়ার মামলা করেন মাশরাফি ও তার বন্ধু হেলাল বিন ইউসুফের নামে। রাজধানীর পল্লবী থানায় করা মামলার এজাহারে সারোয়ার দাবি করেছেন, বিসিবি থেকে সিলেট দলের সত্ত্ব কেনার সময় তিনি ছিলেন ফ্র্যাঞ্চাইজির চেয়ারম্যান। তবে পরিবর্তীতে দলের শেয়ার জোরপূর্বক দখলে নেন মাশরাফি- এমনই অভিযোগ। মাশরাফি ও তার অনুসারীরা মিলে নাকি ২০২৩ সালে সাড়ে ৪ কোটি টাকার শেয়ার জোরপূর্বক নিয়ে নেন। তবে বিনিময়ে কোনো অর্থ পরিশোধ করা হয়নি। উল্টো সারোয়ারকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে।
এরপর সিলেট স্ট্রাইকার্সও আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে দাবি করে, দলটির এক শতাংশ মালিকানাও মাশরাফির নেই। এর বিপরীতে সারোয়ার এবার বলেছেন, ‘সিলেট স্ট্রাইকার্সের অফিশিয়াল পোস্টে লেখা হয়েছে যে মাশরাফি কখনও সিলেটের ১% মালিকানাও নেয়নি। কিন্তু আমার অভিযোগে আমি কোথাও উল্লেখ করিনি যে মাশরাফির কাগজে-কলমে মালিকানা ছিল বা তিনি নিয়েছেন। হ্যাঁ, অফিশিয়ালি মাশরাফির নামে কোন শেয়ার ছিল না। তবে, সরাসরি তার উপস্থিতিতে, তার সমর্থনে এবং তার রাজনৈতিক অফিসে অবরুদ্ধ করে, হুমকি দিয়ে, আইন ভেঙ্গে মাশরাফির অফিসে এক আরজেএসসি কর্মকর্তাকে নিয়ে এসে, আমাকে শেয়ার হেলাল বিন ইউসুফ শুভ্রের নামে লিখে দিতে বাধ্য করা হয়েছিল।’
মাশরাফির সমর্থন ছিল শেয়ার দখলে, এমনটি জানিয়ে সারোয়ার আরও দাবি করেছেন, ‘অনেকে এমনভাবে লিখছেন যেন আমাকে যেই অস্ত্র দেখিয়ে হুমকি দেওয়া হয়েছিল তা মাশরাফির হাতে ছিল, কিন্তু আসলে অস্ত্রটি ছিল হেলাল বিন ইউসুফের কাছে যা ব্যাবহার করে আমাকে হুমকি দেওয়া হয় মাশরাফির উপস্থিতিতে এবং এই সম্পূর্ণ সময় মাশরাফির সমর্থন তাদের পক্ষে ছিল। আমার অভিযোগেও ঠিক তেমনটাই দেওয়া আছে। পল্লবী থানায় দায়ের করা মামলার তথ্যের সাথে আপনারা মিলিয়ে দেখতে পারেন।’
আইনি প্রক্রিয়ায় এগিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি শীঘ্রই এ ইস্যুতে প্রেস কনফারেন্স বলে জানিয়েছেন সিলেট স্ট্রাইকার্সের সাবেক চেয়ারম্যান। এতসব বিতর্কের মধ্যেও বিপিএলের এবারের আসরে অংশ নেওয়ার কথা আছে সিলেট স্ট্রাইকার্সের।