তিন বছর আগেই ছিলেন খলনায়ক। ২০১৬ টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালের শেষ ওভারে ২০ রান লাগলে দিয়েছিলেন পর পর চার বলে চারটি ছয়। নিশ্চিত শিরোপা হাত ছাড়া করিয়েছিলেন তিনি। তিনি আর কেউ নন তিনি হলেন এবারের বিশ্বকাপ ফাইনালের নায়ক বেন স্টোকস।
পুরো ইংল্যান্ড জুড়ে এখন শুধু একটাই নাম স্টোকস। তার অলরাউন্ডিং নৈপুণ্যে, তিনি এখন ইংলিশ জুনিয়র ক্রিকেটারদের আইডল। বিশ্বকাপের ফাইনাল মঞ্চে খলনায়ক থেকে নাম কাটিয়ে নায়ক হতে একটুও ভুল করেননি স্টোকস। খেলেছেন ৮৪ রানের অপরাজিত ইনিংস। দলকে একাই টেনে নিয়ে গিয়েছিলেন শেষ পর্যন্ত। জয় না পেলেও ড্র হওয়ার ম্যাচ সুপার ওভারে গড়ালে সেখানেও দুর্দান্ত ব্যাটিং করলে লড়াকু পুঁজি পায় ইংল্যান্ড। আর তাইতো শিরোপাটাই আজ তাদের দখলে।
ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী পদের দাবিদার বরিস জনসন এবং জেরেমি হান্ট জানিয়েছেন, স্টোকসের দুর্দান্ত সাফল্যের যোগ্য সম্মান পাওয়া উচিত। সেই কারণে তাঁকে ‘নাইটহুড’ সম্মানে ভূষিত করা হতে পারে। চলতি মাসেই থেরেসা মের আসনে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে জনসন বা হান্ট আসীন হবেন কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে জনসন বলে দিয়েছেন, “স্টোকসকে সম্মান জানাতে আমি যে কোনও পর্যায় অবধি যাব। এটাই আমার উত্তর।” হান্টও জানান, দেশের জার্সি গায়ে স্টোকস যা করেছেন তাতে তিনি নাইটহুড পাওয়ারই যোগ্য।
নাইটহুড উপাধি প্রাপ্তদের স্যার বলে সম্মান জানানো হয়। প্রথম বাঙালি হিসেবে নাইটহুড উপাধি পেয়েছিলেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। বাঙালিদের উপর ব্রিটিশদের অত্যাচারের কারণে যদিও তিনি তা প্রত্যাখান করেছিলেন।তবে নিঃসন্দেহে নাইটহুড উপাধি অর্জন বিশ্বের সবচেয়ে সম্মানজনক উপাধির মধ্যে অন্যতম। আর সেটাই পেতে যাচ্ছে বিশ্বকাপ ফাইনাল ম্যাচের নায়ক বেন স্টোকস।