আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) দুর্নীতিবিরোধী নীতি মেনে চলতে ব্যর্থ হচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের টি-২০ ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগগুলো। এর মধ্যে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) নিয়েও রয়েছে নানা অভিযোগ।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, দুর্নীতি ইস্যুতে বেশ কয়েকটি লিগ বিশেষ ঝুঁকিতে রয়েছে। গত দুই বছরে বিপিএলে ৩০টিরও বেশি দুর্নীতির অভিযোগ ছিল। তবুও কোনোটির ক্ষেত্রেই আসেনি নিষেধাজ্ঞা। অনেক লিগের মতো বিপিএল দুর্নীতিবিরোধী কার্যক্রমের জন্য আইসিসিকে তালিকাভূক্ত করেনি।
দীর্ঘ সাত বছর আইসিসির দুর্নীতিবিরোধী ইউনিটের তদন্ত সমন্বয়কারী ছিলেন স্টিভ রিচার্ডসন। তিনি বলেন, ‘কিছু লিগ নিয়ে আমি সবসময় কিছু ফ্র্যাঞ্চাইজির সততা নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকতাম। যখন প্রতিযোগিতায় বোর্ডগুলো দুর্নীতিবিরোধী ব্যবস্থার প্রতি যথেষ্ট মনোযোগ দিতে ব্যর্থ, তখন এটির পরিণতি সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়েছিলেন রিচার্ডসন। তিনি বলেন, যদি অর্থ স্পনসরশিপ বা টেলিভিশন রাজস্ব থেকে না আসে, তখন বাজিসহ অর্থ উপার্জনের অন্যান্য পন্থাগুলো ব্যবহারের প্রলোভন থাকবে। যখন বাজির বাজার থাকে, তখন এটি দুর্বলতা নিয়ে আসে।’
আরও পড়ুন: টিভিতে আজকের খেলা (০২ নভেম্বর)
‘বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে সব সময়ই দুর্নীতিবাজরা তৎপর হওয়ার চেষ্টা করেন। এর অর্থ এই নয় যে সব লীগে দুর্নীতিবাজরা কাজ করছেন। তাদের মধ্যে কেউ কেউ ভালো উদ্দেশ্যের মানুষ, যারা হয়তো বুঝতেই পারছেন না যে তারা কী করছেন।’
এ বছর, আবুধাবি টি-১০ লিগে পুনে ডেভিলসের মালিকরা ২০২১ সালে লিগে দুর্নীতিজনিত কার্যকলাপের কথা স্বীকার করেছিল। পরে দলটি নিষিদ্ধ হয়। কানাডার গ্লোবাল টি-২০ এবং বিভিন্ন লিজেন্ডস লিগসহ আরও কয়েকটি লিগ সম্পর্কে দুর্নীতির অভিযোগ আছে।