৭ সংখ্যাটি পাকিস্তানের জন্য লাকি হয়ে আসলোনা। বিশ্বকাপে ভারতের সাথে খেলা আগের ৬ টি ম্যাচেই পরাজিত হয়েছিল পাকিস্তান। তাই পাকিস্তানী ভক্তদের আশা ছিল সপ্তমবারে হয়তো সফল হবে তাদের প্রিয় দল। কিন্তু, ভারতের বিপক্ষে জয় অধরাই থেকে গেলো বিশ্বকাপে।
ওল্ড ট্রাফোর্ডে সরফরাজ আহমেদের দল ৮৯ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরেছে কোহলি এন্ড কোম্পানির কাছে। আর বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে পাকিস্তানের এটি সবচেয়ে বড় পরাজয়।
ম্যানচেস্টারের ওল্ড ট্রাফোর্ডে আজ টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামে ভারত। রোহিত শর্মার সেঞ্চুরি ও রাহুল-কোহলির হাফ সেঞ্চুরিতে ভর করে ৩৩৬ রানের বিশাল পাহাড় গড়ে তারা। বিশ্বকাপ ইতিহাসে ভারত বনাম পাকিস্তান কোনো ম্যাচে এটিই সর্বোচ্চ দলীয় স্কোর।
হাই ভোল্টেজ ম্যাচে ভারতের হয়ে উদ্ধোধনী জুটিতে ব্যাট করেন রোহিত শর্মা ও কেএল রাহুল। এই দুই ব্যটসম্যান উদ্ধোধনী জুটিতে ১৩৬ রান তোলেন। যা বিশ্বকাপে ভারত পাকিস্তান ম্যাচে সর্বোচ্চ রানের জুটি। রাহুলের উপর ইন্ডিয়ান টীম ম্যানেজমেন্টের রাখা ভরসার সঠিক প্রতিদান তিনি দিয়েছেন ৭৮ বল খেলে ৫৭ রান করে।
৮৯ বলে রোহিতের সেঞ্চুরির পর ইনিংসের ৩৯তম ওভারে ১১৩ বল থেকে ১৪টি চার ও ৩টি ছক্কায় ১৪০ রান করে ক্যাচ আউট হন রোহিত। রোহিতের বিদায়ের পর ভারতের হাল ধরেন অধিনায়ক বিরাট কোহলি। ৫১ বল খেলে নিজের হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। হাফ সেঞ্চুরির পর রানের গতি দ্রুত করতে থাকেন সঙ্গী হার্দিক পান্ডেকে সাথে নিয়ে। এ সময় পান্ডেকে ২৬ রানে বিদায় করেন আমির।
ইনিংসের ৪৭তম ওভারের চতুর্থ বলে বৃষ্টির বাধায় পড়ে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ। এ সময় ভারতের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ৩০৫ রান। বৃষ্টি বিরতির পর দ্বিতীয় দফায় ব্যাটিংয়ে নামে ভারত। তবে এ সময় ৪৮তম ওভারে কোহিল ঝড় থামিয়ে দেন আমির। কোহলি ৬৫ বলে ৭টি বাউন্ডারিতে ৭৭ রান করেন।
শেষ ২০ বল থেকে ৩১ রান তোলে ভারত। এতে নির্ধারতি ৫০ ওভার শেষে ৫ উইকেট ৩৩৬ রান তুলতে সক্ষম হয় তারা। এ সময় বিয়জ শঙ্কর ১৫ ও কেদার যাদব ৯ রানে অপরাজিত থাকেন।
পাকিস্তানের হয়ে মোহাম্মদ আমির ৩টি উইকেট পান। হাসান আলী ও ওহাব রিয়াজ ১টি করে উইকেট পান। স্পিনারদের মধ্যে শাদাব খান ৯ ওভারে ৬১ রান খরচ করে ছিলেন উইকেট শূন্য।
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই দলীয় ১৩ রানে প্রথম উইকেট
ওপেনার ইমাম উল হককে হারালেও প্রতিরোধ গড়ে তোলেন ফখর জামান ও বাবর আজম। দ্বিতীয় উইকেটে দুজনে ১০২ রানের জুটি গড়ে তোলেন।
বাবর বিদায় নিলে ৫৭ বলে ৪৮ রান করে এই জুটি ভাঙে। এর পরপরই ফখর ৭৫ বলে ৬২ রান করে সাজঘরে ফেরেন। এতেই ধস নামে পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপে। অল্প সময়ের ব্যবধানে কয়েকটি উইকেট হারানো পাকিস্তানের স্কোরকার্ড দাঁড়ায় এমন- ১২৯/৫ এ।
অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ দলীয় ১৬৫ রানে বিদায় নেয়ার পর বৃষ্টি নামে। তাতে ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে দ্বিতীয় ইনিংসের দৈর্ঘ্য ধরা হয় ৪০ ওভারে। আর তাতে পাকিস্তানের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩০২ রান; যা ঐ পরিস্থিতিতে রীতিমত ‘অসাধ্য সাধন’ হয়ে দাঁড়ায়।
নির্ধারিত ৪০ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ২১২ রান করতে সক্ষম হয় পাকিস্তান। এতে ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে ভারত ৮৯ রানের বিশাল জয় পায়।
ভারতের পক্ষে ২টি করে উইকেট শিকার করেন বিজয় শঙ্কর, হার্দিক পান্ডিয়া ও কুলদ্বীপ যাদব।