লর্ডসে নিয়মরক্ষার ম্যাচে এবং বাংলাদেশের বিশ্বকাপ সমাপনী ম্যাচে টাইগারদের ৩১৬ রানের লক্ষ্য দিলো পাকিস্তান। পাকিস্তানের হয়ে এদিন ইমাম ১০০ ও বাবর আজম ৯৬ রানের ইনিংস খেলেছেন। বাংলাদেশের হয়ে পাঁচ উইকেট নিয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান। যার সুবাদে চলমান বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারিদের তালিকায় দুই নম্বরে উঠে এসেছেন তিনি।
টসে জিতে পাকিস্তানকে ভালো সূচনা এনে দিতে পারেনি পাকিস্তানের দুই ওপেনার ফকর জামান ও ইমাম উল হক। উদ্ধোধনী জুটিতে ২৩ রানের মাথায় ফখরকে ১৩ রানে ফিরিয়ে পাকিস্তান শিবিরে প্রথম ধাক্কা দেন সাইফউদ্দিন।
ফখরের বিদায়ে পর ইমাম ও বাবর আজম জুটি বাধেন। তাদের দুজনের গড়া ১৪৮ বল থেকে ১৫৭ রানের জুটি পাকিস্তানকে শক্ত অবস্থানে পৌঁছে দেয়। আবার এই জুটিতে ভাঙন ধরান সেই সাইফউদ্দিন। ৯৮ বল থেকে ৯৬ রান করা বাবর আজমকে এল বি ডব্লিই বানিয়ে প্যাভিলনে ফেরত পাঠান তিনি। বাবরের ইনিংসটি ১১টি বাউন্ডারিতে সাজানো ছিল।
বাবর ফিরে যাওয়ার পর দলের ভার কাঁধে তুলে নেন ইমাম। তৃতীয় উইকেটে তার সঙ্গে ব্যাটিংয়ে আসেন মোহাম্মদ হাফিজ। তাকে নিয়ে বিশ্বকাপে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেন ইমান। তার সেঞ্চুরিটি আসে ৯৯ বল থেকে যেখানে সাতটি বাউন্ডারি ছিল। তবে সেঞ্চুরি পূরণের পরের বলেই মুস্তাফিজের বলে ব্যাকফুটে শট খেলতে গিয়ে পায়ের বুটে লেটে স্টাম্প ভেঙে ফেলেন। এতে হাফিজের সাথে তার গড়া ৬৬ রানের জুটির সমাপ্তি ঘটে।
ইমামের পর ক্রিজে স্থায়ী হতে পারেননি হাফিজও। দলীয় ২৪৮ রানে মিরাজের বলে ব্যক্তিগত ২৭ রান নিয়ে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলনে ফিরতে হয় তাকে। দুই সেট ব্যাটসম্যান হারানোর পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে পাকিস্তান। এ সময় দলের হয়ে একক লড়াই করেন ইমাদ ওয়াসিম। তিনি ২৬ বল থেকে ৪৩ রানের ইনিংস খেলে দুই বল বাকি থাকতে আউট হন।
ইমাদের উইকেটটি পান মুস্তাফিজ। পরবর্তী বলেই তিনি আমিরের উইকেট তুলে নিয়ে বিশ্বকাপে ব্যাক টু ব্যাক পাঁচ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব দেখান। পাকিস্তান নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে ৩১৫ রান সংগ্রহ করে।
এদিক বাংলাদেশের হয়ে মুস্তাফিজ পাঁচ উইকেট নিলেও তার ১০ ওভারে খরচ করেছেন ৭৫ রান। সাইফুদ্দিন ৯ ওভারে ৭৭ রান দিয়ে নেন ৩টি উইকেট। মিরাজ ১০ ওভার বল করে ৩০ রান দিয়ে নেন ১টি উইকেট।
এদিকে বিদায়ী বিশ্বকাপে অন্যান্য ম্যাচের মতো এদিনও নিজের ১০ ওভারের বোলিং কোটা পূরণ করতে পারেননি মাশরাফি। তিনি ৭ ওভারে ৪৬ রান দিয়ে ছিলেন উইকেট শূন্য। সাকিব ৫৭ রান দিয়ে কোনো উইকেট নিতে পারেননি।