বর্ষসেরা আম্পায়ারের তকমা আছে দুইবার। কোনো দেশের হয়ে বর্ষসেরা আম্পায়ার না পুরো ক্রিকেট বিশ্বে দুইবার আইসিসির সেরা আম্পায়ার নির্বাচিত হয়েছিলেন শ্রীলঙ্কান কুমার ধর্মসেনা। চলতি দ্বাদশ বিশ্বকাপে ভুল সিদ্ধান্তের কারণে বিতর্কের কেন্দ্রে অবস্থান করছেন তিনি।
প্রায় আড়াই বছর আগে চট্রগ্রামে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ-ইংল্যান্ডের একটি টেস্ট ম্যাচে ভুল সিদ্ধান্ত দিয়েছিলেন ৭-৮ টি। সব গুলো সিদ্ধান্তই রিভিউ এ ভুল প্রমাণিত হয়েছে। এমন আম্পায়ার কি করে হন বিশ্বসেরা সেই প্রশ্নই এখন ক্রিকেট প্রেমীদের মনে।
চলতি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালেও দিয়েছিলেন ভুল সিদ্ধান্ত। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জয় ছিনিয়ে নিয়ে ফাইনালে উঠার জন্য যখন মরিয়া স্বাগতিক ইংল্যান্ড তখনই একটি আবেদনে আউট দিয়ে দিলেন দুর্দান্ত দাপুটে ব্যাট করতে থাকা জেসন রয়কে। রিভিউ বাকি না থাকায় দুর্ভাগ্যের স্বীকার হয়েই প্যাভিলিয়নে ফিরতে হয় তাকে। এমন বাজে সিদ্ধান্তের জন্য অসদাচরণ করে বসেন রয়। কর্তন করা হয় ম্যাচ ফির ৩০ শতাংশ এবং নামের পাশে যোগ হয় দুইটি ডেমিরিট পয়েন্ট। আর এমন সিদ্ধান্তে যেন পুরস্কৃত করা হয় কুমার ধর্মসেনাকেই। ফাইনালের জন্য সাউথ আফ্রিকান এরাসমাসের সাথে আম্পায়ারিংয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয় তাকে।
আর আইসিসির সেই সিদ্ধান্ত যে ভুল ছিল সেটা আবারো প্রমান করলেন ধর্মসেনা। ফাইনাল ম্যাচের তৃতীয় ওভারে ক্রিস ওকসের করা একটি বল হেনরি নিকোলসের পায়ে লাগলে আবেদন করা মাত্র আউট দিয়ে দেন তিনি। নিকোলস রিভিউ নিলে দেখা যায় বেশ উপর দিয়ে বল চলে যায়।
শুধু ধর্মসেনা নয় বাংলাদেশ-আফগানিস্তান ম্যাচে লিটন দাসকে একটা ভুয়া আউট দেন থার্ড আম্পায়ারের দায়িত্বে থাকা আলিম দার। শুধু সেদিনই নয়; চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিতে রোহিত শর্মার একটি আউট হওয়া বল নো ডাকা নিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ হন আলিম দার ও ইয়ান গোল্ড। এবারো ভুল সিদ্ধান্তের জন্য সমালোচিত হয়েছেন ইয়ান গোল্ড।
যদি এভাবে বাজে আম্পায়ারিং চলতে থাকে তাহলে আম্পায়ারদের উপর নির্ভরযোগ্যতা হারাবে দল গুলো। আর সেই সাথে ফাইনাল ম্যাচে ধর্মসেনা কে দায়িত্ব দেওয়াতে প্রশ্ন উঠতেই পারে আম্পায়ারিং এর নামে কি প্রহসন করছে আইসিসি!