বিদায়ী ম্যাচে শ্রীলঙ্কার জয়ের পথটা দেখিয়েছেন লাসিথ মালিঙ্গা। তামিমের উইকেটে নিয়ে বাংলাদেশের ভাঙনের শুরুটা তিনিই করে দেন। আর রুবেলের উইকেট নিয়ে শেষটাও তিনি করলেন। শ্রীলঙ্কার দেওয়া ৩১৫ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নেমে ২২৩ রানেই অলআউট হলো বাংলাদেশ। বিদায়ী ম্যাচে মালিঙ্গার দল পেলো ৯১ রানের বড় জয়।
বড় রান তাড়া করতে নেমে প্রথম ওভারেই তামিমকে শূন্য হাতে ফেরান মালিঙ্গা। তার ট্রেড মার্ক ইয়র্কারে ওভারের পঞ্চম বলেই বোল্ড আউট হন বাংলাদেশ দলের ১৪ তম অধিনায়ক তামিম ইকবাল।
এরপর নিয়মিত বিরতীতে উইকেট হারাতে থাকে বাংলাদেশ। এক পর্যায়ে স্কোর বোর্ডে ৩৯ রান যোগ করতে ৪ উইকেট হারানোর দলে পরিণত হয় টাইগাররা। সৌম্য ১৫, মিথুন ১০ ও মাহমুদউল্লাহ ফেরেন ব্যক্তিগত ৩ রানে।
তবে পঞ্চম উইকেটে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। মুশফিক-সাব্বির জুটিতে খেলায় ফিরে আসে বাংলাদেশ। দলীয় স্কোর ১৫০ ছোঁয়ার পর মনোযোগ হারান সাব্বির। ডি সিলভার বলে বাউন্ডারিতে ফার্নাদোর হাতে ক্যাচ দেন তিনি। এতে পঞ্চম উইকেটে ১১১ রানের জুটিতে ছেদ পড়ে। ৫৬ বল থেকে ৬০ রানের ইনিংস খেলেন এই হার্ড হিটার ব্যাটসম্যান। তার ইনিংসে ৭টি বাউন্ডারির মার ছিল।
এরপর ক্রিজে আসা মোসাদ্দেকের সঙ্গে ৩২ রানের ছোট্ট জুটি গড়েন মুশফিক। তবে মুশফিকের ভুলেই ব্যক্তিগত ১২ রানে রান আউট হয়ে ফিরে যেতে হয় মোসাদ্দেককে। রানের জন্য মোসাদ্দেককে কল দিয়ে মাঝ পথে ফিরিয়ে দেন মুশফিক।
মোসাদ্দেকের বিদায়ের পর বাংলাদেশের পরাজয়টা শুধু মাত্র সময়ের ব্যবধান ছিল। দলীয় স্কোর যখন দুইশো থেকে এক রান দূরে তখন উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নিলে অষ্টম উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
মুশফিক ৮৬ বল থেকে ৬৭ রান করেন। মুশফিকের বিদায়ের এক বল পরেই বিদায় নেন শফিউল। শেষ উইকেটে ২৩ রান তোলেন রুবেল ও মুস্তাফিজ। এই জুটির রুবেলকে ৬ রানে ক্যাচ আউট করে বাংলাদেশের ইনিংসে দাড়ি টানেন মালিঙ্গা। এতে ৪১.৪ ওভারে ২২৩ রানে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ দল। ৯১ রানের বড় জয় পেয়ে যায় শ্রীলঙ্কা।
শ্রীলঙ্কার হয়ে মালিঙ্গা তার বিদায়ী ম্যাচে ৩৮ রান খরচায় তিনটি উইকেট নেন। এতে ৩৩৮ উইকেটে নিয়ে ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির তালিকায় কুম্বলেকে টপকে তালিকায় নবম স্থানে উঠে আসলেন এই শ্রীলংকান কিংবদন্তি।
শ্রীলঙ্কার হয়ে নুয়ান প্রদীপ নেন ৩টি উইকেট। ডি সিলভা ২টি ও লাহিরু নেন ১টি উইকেট।