বাঁচা-মরার লড়াইয়ে প্রথমে ব্যাট করে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে লড়াই করার মতো সংগ্রহ পেলো বাংলাদেশ দল। নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৮ উইকেটে ২৩৮ রান তুলেছে তারা। বাংলাদেশের হয়ে মুশফিকুর রহিম অপরাজিত ৯৮ রানের ইনিংস খেলেছেন।
প্রথম ওয়ানডের মতো এই ম্যাচও শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। দলীয় ৩১ রান তুলতেই প্যাভিলনের পথ ধরেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল (১৯) ও সৌম্য (১১)। ওপেনারদের ব্যর্থতার দিনে ক্রিজে স্থায়ী হতে পারেননি মিঠুন ও মাহমুদউল্লাহ। মিঠুন ১২ এবং মাহমুদউল্লাহ ব্যক্তিগত ৬ রানে আউট হন। তাদের দু’জনের উইকেটই তুলে নেন ধনঞ্জয়া।
তবে চার নম্বরে ব্যাট করতে নামা মুশফিকুর রহিমের বাকিদের ব্যর্থতার দিনে ক্রিজে লড়াই করার মানষিকতা দেখান। ছয় নম্বরে ব্যাট করতে আসা সাব্বিরকে নিয়ে নতুন জুটি গড়ার চেষ্টা করেন তিনি। তবে দলীয় ৮৮ রানে ভাগ্য বিড়ম্বনার শিকার হয়ে রান আউটে কাটা পড়েন সাব্বির। সাব্বিরের ব্যাট থেকে আসে ১১ রান।
সাব্বিরের বিদায়ের পর ক্রিজে মুশফিককে সঙ্গ দিতে পারেননি মোসাদ্দেক। দলীয় ১১৭ রানে ব্যক্তিগত ১৩ রান নিয়ে মোসাদ্দেক ফিরে গেলে অলআউট হওয়ার শঙ্কায় পড়ে বাংলাদেশ। তবে এ সময় বাংলাদেশ লড়াই করার শক্তি পায় সপ্তম উইকেটে।
মিরাজ ও মুশফিক দুজনে মিলে ৮৪ রানে জুটি গড়ে তোলেন। ইনিংসের ৪৬তম ওভারে মিরাজ ৪৩ রানের ইনিংস খেলে ফিরলে এই জুটিতে ছেদ পড়ে। তবে মুশফিক বাকিটা পথ লড়লেন তাইজুল ও মুস্তাফিজকে নিয়ে।
ইসুরু উদানার করা ৪৯তম ওভারের শেষ চারটি বলে ১৫ রান নিয়ে সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জোড়ালো করেন মুশফিক। শেষ ওভারে সেঞ্চুরি পূরণ করেত তার প্রয়োজন ছিল ৫ রান।
সে সুযোগ পেয়েও ছিলেন তিনি। তবে দলের প্রয়োজনে ৪৯.৫ ওভারে সিঙ্গেল নিয়ে ৯৮ রানে অপরাজিত থেকে যান তিনি। শেষ বল থেকে মুস্তাফিজ দুই রান নিলে ৮ উইকেটে ২৩৮ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ।
শ্রীলঙ্কার হয়ে নুয়ান প্রদীপ ৫৩, আকিলা ধনঞ্জয়া ৩৯, ইসুরু উদানা ৫৮ রান দিয়ে প্রত্যেকেই ২টি করে উইকেট নেন।