ক্রিকেট খেলায় আম্পায়ারদের পারিশ্রমিক শুনলে অনেকটা অবাক হবেন।ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা আইসিসি যার পুরো দায়িত্ব গ্রহণ করে থাকে।
ক্রিকেটে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে গণ্য হয়। শুধু তাই নয় যদি আম্পায়ারদের বিরুদ্ধে কোনো ক্রিকেটার অশোভন আচরণ করেন তাহলে গুণতে হয় জরিমানা। আর আম্পায়ারদের তাই বিশেষ মর্যাদা দিয়ে মোটা অঙ্কের বেতন প্রদান করে আইসিসি।
সম্প্রতি আম্পায়ারদের বিভিন্ন সিদ্ধান্ত প্রশ্নবিদ্ধ। সদ্য শেষ হওয়া বিশ্বকাপে আম্পায়ারিং এর মান নিয়ে উঠেছে নানা প্রশ্ন। তবুও আইসিসি শুধু তাদের পারিশ্রমিকি না বিমানে যাতায়াত খরচ ও পাঁচ তারকা হোটেলে থাকা খাওয়ার সকল বন্দোবস্ত করে।
আম্পায়ারদের বেতন প্রদান করা হয় বিভিন্ন শেণীতে ভাগ করে। সবচেয়ে বেশি বেতন পান এলিট ক্যাটাগরিতে থাকা আম্পায়ররা। এই মূহুর্তে এলিট ক্যাটাগরিতে আছেন ১২ জন আম্পায়ার। তারা হলেন আলিম দার, কুমার ধর্মসেনা, মারাইস এরাসমাস, ক্রিস গাফানি, মাইকেল গফ, রিচার্ড ইলিংওয়ার্থ, রিচার্ড কেটেলবার্গ, নাইজেল লং, ব্রুস অক্সনফোর্ড, পল রেইফেল, রোড টাকার এবং জোয়েল উইলসন। এনাদের মধ্যে নয়া সংযোজন ইংল্যান্ডের মাইকেল গফ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের জোয়েল উইলসন।
এলিট প্যানেলের আম্পায়াররা বছরে ৩৫ হাজার মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২৮ লক্ষ টাকার কাছাকাছি) থেকে ৪৫ হাজার মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৩৬ লক্ষ টাকার কাছাকাছি) পর্যন্ত উপার্জন করেন। প্রতিটি টেস্ট ম্যাচের জন্য তাঁরা ৩,০০০ মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা) করে পেয়ে থাকেন। ওয়ানডে ও টি-২০ ম্যাচের জন্য তাঁদের বরাদ্দ যথাক্রমে ২২০০ মার্কিন ডলার ( বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ লক্ষ ৭৬ হাজার টাকা) ও ১০০০ মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৮০,০০০ টাকা)।একজন এলিট প্যানেলের আম্পায়ার বছরে আট থেকে দশটি টেস্ট ম্যাচের দায়িত্বে থাকেন। ওয়ানডে ম্যাচ পান ১০-১৫টি।আইপিএল-এর প্রতি ম্যাচের জন্য আম্পায়াররা ২ লক্ষ ৪ হাজার টাকা করে পেয়ে থাকেন।
বার্ষিক ফি ছাড়াও একটা আইসিসি-র বার্ষিক ফি পান তাঁরা। আইসিসি ইভেন্টে আম্পায়ারিং করলে টাকার পরিমাণ আরো বাড়ে।