স্বাগতিক ইংল্যান্ড ও ভারতের সঙ্গে আয়োজীত ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনাল নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯। তাই সোমবার সিরিজের দশম ম্যাচটিতে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে কোনো চাপ ছিল না জুনিয়র টাইগারদের। এই ম্যাচে তৈহিদ হৃদয়ের দুদান্ত সেঞ্চুরিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টাই করেছে। জয়ের জন্য বাংলাদেশের শেষ তিন রানের প্রয়োজন ছিল। কিন্তু তারা দুই রানের বেশি নিতে পারেনি।
বেকেনহ্যাম কাউন্টি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে স্বাগতিক ইংল্যান্ড টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৭৮ রানে ইংল্যান্ডে ৪ উইকেট হারায়। তবে পঞ্চম উইকেটে কক্স ও ব্যালডারসনের ব্যাটিং দৃঢ়তায় সেই চাপ সামাল দেয় ইংলিশরা।
কক্স সেঞ্চুরি তুলে নিলেও অর্ধশতক তুলে নেন ব্যালডারসন। ৫৬ রান করে ব্যালডারসন আউট হন। কক্স ১২২ করে অপরাজিত থাকেন। ৫০ ওভারে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৭ উইকেটে ২৫৬ রান।
বাংলাদেশের রাকিবুল হাসান ৩টি, তামজিম হাসান ২টি এবং অভিষেক দাস ও রিশাদ হোসাইন ১টি করে উইকেট নেন। ফাইনালের আগে ডাবল লেগ পর্বের শেষ ম্যাচে ভারত অনূর্ধ্ব-১৯ দলের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।
২৫৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নামা বাংলাদেশের শুরুটাও ছিলো ইংল্যান্ডের মতো। ইনিংসের ১২তম ওভারে ৬১ রানের মধ্যে তিন ব্যাটসম্যান ফিরে যান সাজঘরে। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ার তানজিদ হাসান ২৩, পারভেজ ইমন ১২ এবং মাহমুদুল জয় ৯ রান করে আউট হন।
চতুর্থ উইকেট হৃদয় এবং শাহাদাৎ হোসাইনের ব্যাটে ১৬০ রানের জুটিতে ম্যাচে ফেরে বাংলাদেশ। দলীয় ২২১ রানে ব্যক্তিগত ৭৬ রান করে শাহাদাৎ আউট হলে এই জুটিতে ছেদ পড়ে।
অন্য ব্যাটসম্যান হৃদয় ১০৪ রান করে অপরাজিত থেকেই ম্যাচ জেতাতে পারেননি বাংলাদেশকে। শেষ ওভারে জয়ের জন্য বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ৯ রান। কিন্তু জর্জ হিলের করা ৫০তম ওভারে ৮ রানের বেশি তুলতে পারেননি হৃদয়।
ফলে ৬ উইকেটে ২৫৬ রান করে বংলাদেশ। ইংল্যান্ডের লুক ডোনাথি ৩টি ও জর্জ ব্যালডারসন ২টি উইকেট নেন।
এই ড্রয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা বাংলাদেশের পয়েন্ট দাঁড়িয়েছে সাত ম্যাচে ১০। ছয় ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে ফাইনালের অপর দল ভারত অনূর্ধ্ব-১৯। সিরিজ থেকে ছিটকে পড়া ইংল্যান্ডের সংগ্রহ সাত ম্যাচে মাত্র ৩ পয়েন্ট।
লিগ পর্বে ৭ অগাস্ট বাংলাদেশ পরের ম্যাচে ভারতের মুখোমুখি হবে। ১১ অগাস্ট ব্রাইটনে ফাইনালে মুখোমুখি হবে দল দুটি।