বিশ্ব ক্রিকেট এখন উত্তাল সাকিব আল হাসানের উপর দেয়া আইসিসির শাস্তির ব্যাপারে। আর ঠিক এই সময় পাকিস্তানের সাবেক বিশ্বসেরা পেস বোলার শোয়েব আখতার ম্যাচ ফিক্সিং নিয়ে বোমা ফাটালেন। তিনি দাবি করেছেন কোনো একটি ম্যাচের ২১ জনের বিরুদ্ধেই তাকে খেলতে হতো।
বিষয়টি ভালো ভাবে বুঝিয়ে বলতে গেলে এমনটা আসে, ক্রিকেট ম্যাচে দুই দল মিলিয়ে ২২ জন খেলোয়াড় থাকে। শোয়েব আখতার মনে করেন তিনি বাদে বাকি ২১ জনই কোনো না কোনোভাবে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের সাথে জড়িত থাকতেন! অর্থাৎ, শুধু প্রতিপক্ষের ক্রিকেটাররা নয় নিজ সতীর্থদের দিকেও আঙ্গুল তাক করছেন তিনি!
সম্প্রতি এক টক-শোতে দেয়া বক্তব্যে শোয়েব বলেন, ‘আমি সব সময় স্থির করে রেখেছিলাম, আমি কখনও পাকিস্তানকে ঠকাব না। কোনো ম্যাচ ফিক্সিং নয়। কিন্তু আমি ম্যাচ ফিক্সারদের দ্বারা আবর্তিত ছিলাম। আমাকে ২১ জনের বিপক্ষে খেলতে হচ্ছিল। ওদের ১১ আর আমাদের ১০ জন। কে জানে কে ম্যাচ ফিক্সার! তখনও অনেক ম্যাচ গড়াপেটা হয়েছে। মোহাম্মদ আসিফ আমাকে বলেছিলেন, কোন ম্যাচ কীভাবে গড়াপেটা করেছে ওরা।’
২০১১ সালে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পর পাকিস্তানের তিন তারকা ক্রিকেটার মোহাম্মদ আমির, মোহাম্মদ আসিফ ও সালমান বাট ৫ বছরের জন্য ক্রিকেট থেকে নির্বাসিত হন। যা শোয়েবকে অনেক রাগান্বিত করে।
শোয়েব বলেন, ‘আমি আমির ও আসিফকে বোঝার চেষ্টা করেছিলাম। প্রতিভার কী অপচয়! আমি যখন এই বিষয়ে জানতে পারি, আমি আক্ষেপে দেওয়ালে ঘুষি মেরেছিলাম। পাকিস্তানের দুই শীর্ষস্থানীয় বোলার, স্মার্ট, বুদ্ধিমান ও নিখুঁত ফাস্ট বোলার, তারা কীভাবে নষ্ট হয়ে গেল! কিছু টাকার জন্য নিজেদের বেচে দিল ওরা!’