ঢাকার বিপক্ষে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে ১৪৩ রানের লক্ষ্য রাখল মাশরাফির রংপুর রাইডার্স। এদির তাদের দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৮ রানের ইনিংসটি আসে রবি বোপারার ব্যাট থেকে।
টসে হেরে ব্যাট করতে নামে রংপুর রাইডার্স। গেইল ও নাদিফ চৌধুরির ব্যাটে ঝড়ো সূচান পেয়েছিল তারা। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে শুভাগত হোমকে দ্বিতীয় বল থেকে পরপর তিনটি ছক্কা হাঁকান নাদিফ। তবে ষষ্ঠ বলে আবোরো ছক্কা মারার প্রচেষ্টায় নিজের উইকেট হারান নাদিফ। ১২ বল থেকে ২৭ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।
নাদিফের বিদায়ের পরের ওভারেই জোড়া উইকেট হারায় রংপুর। এ সময় অফ স্টাম্পের বাইরের বলে ব্যাট চালিয়ে নুরুলের হাতে ক্যাচ দিয়ে ১৩ বল থেকে ১৫ রান করে ফেরেন গেইল। পরের বলেই রুশো ফেরেন শূন্য রানে। এ সময় ৪.২ ওভারে রংপুরের সংগ্রহ ৪২/৩।
চতুর্থ উইকেটে বোপারা ও মিঠুন চাপ সামলে দলকে টেনে তোলেন। এই জুটিতে ৯ ওভারে ৬৪ রান তোলে তারা। তবে এরপরেই আবার ধ্বংস নামে রংপুরে ব্যাটিং লাইনআপে। দলীয় ১০৬ রান থেকে ১১০ রানের মধ্যে প্যাভিলনে ফেরেন তিন ব্যাটসম্যান। প্রথমে কাজি অনিকের বলে ২৭ বল থেকে ৩৮ রানের ইনিংস খেলে বিদায় নেন মিঠুন। পরের দুই ওভারে মাশরাফি ৩ বল খেলে শূন্য ও হাওয়েল ৩ রান করে বিদায় নেন।
দলীয় ১২৪ রানে রংপুর শিবিরে সপ্তম আঘান আনেন রুবেল। এ সময় নাহিদুল ৫ বল থেকে ৪ রান করে বোল্ড আউট হন। ইনিংসের ১৯তম ওভারে ৩ রানে দুটি উইকেট তুলে নেন রাসেল।
শেষ ওভারে রুবলকে পরপর তিন বলে ৬, ৪ ও ৪ মারার পর চতুর্থ বলে বাউন্ডারি ক্যাচ আউট হন বোপারা। এতে ১৯.৪ ওভারে ১৪২ রানে অল আউট হয় রংপুর। ৪৩ বল থেকে ৪৯ রান করেন বোপারা।
ঢাকার হয়ে ২৩ রান খরচায় ৪টি উইকেট নেন রুবেল। রাসেল ৩১ এবং অনিক ২১ রান খরচায় নেন ২টি করে উইকেট নেন। শুভাগত হোম ও সাকিব নেন ১টি করে উইকেট।