সম্প্রতি ফেনীতে মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাতকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় ফুসে উঠেছে পুরো দেশ। সকলেই নুসরাতের অপরাধীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে। নুসরাতের বাড়ি ফেনী জেলার ক্রিকটার মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনও মর্মান্তিক ঘটনার দোষী ব্যক্তিদের শাস্তির দাবি করেছেন।
গোটা বাংলাদেশকে নাড়া দিয়েছে নুসরাত হত্যাকাণ্ড। শোকার্ত মানুষ। চলছে নিন্দার ঝড়। ফেনীর এ ঘটনা ভুলে যাওয়া কঠিন। গেলো ক’দিন মনটা ভালো নেই জাতীয় দলে খেলা ফেনীর একমাত্র ক্রিকেটার মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের । এমন ঘটনার নিন্দা জানানোর ভাষা তারও জানা নেই। তবে ফেনীর সন্তান হয়ে তিনি যে লজ্জিত সেটা বললেন অকপটে।
সাইফুদ্দিন বলেন, সত্যিই খুব মর্মাহত আমি, আমার জেলা ফেনীতে এমন একটা ঘটনা ঘটেছে এর জন্য আমি লজ্জিত। শোক প্রকাশ করার ভাষা নেই। আমি এর বিচার চাই, অপরাধীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
তিনি আরো বলেন, তিনি বলেন, ‘ফেনী শান্তিপ্রিয় একটা জায়গা। এমন অমানবিক একটা ঘটনা, আসলেই আমাকে খুব কষ্ট দিচ্ছে। আমি ফেনীর মানুষজনকে বলব, সরকারের একার পক্ষে এমন অপরাধ রোধ করা সম্ভব নয়। আমাদের নিজ নিজ দিক থেকে প্রতিবাদ করতে হবে, যাতে এত বড় ঘটনা ভবিষ্যতে আর না ঘটে।’
এদিকে বিশ্বকাপের স্কোয়াডে সম্ভাব্য ক্রিকেটার সাইফুদ্দিন শতভাগ ফিট হয়ে বিশ্বকাপে খেলতে ঘাম ঝরিয়ে চলেছেন। বিশ্বকাপ স্কোয়াডে জায়গা নিয়ে চিন্তা না করে নিজের ফর্ম ও ফিটনেস নিয়ে বেশি মনোযোগী ফেনী এক্সপ্রেস।তবে শতভাগ ফিট না হয়েও খেলেছেন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে, আবাহনীর হয়ে পারফর্মও করছেন প্রায় প্রতিটি ম্যাচে।
বিশ্বকাপের দলে থাকতে নিজেকে প্রস্তুত রাখার সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত। লিগের বিরতীতেও বিশ্রাম নেই ফেনী এক্সপ্রেসের। তিনি বলেন, প্রেস বলারের খুঁটি নাটি ইনজুরি থাকবেই, এটা মাথায় রেখেই খেলতে হবে। যেহেতু খেলতে
বিশ্বকাপ এলেই মাথায় আসে কত ঘটনা, কত স্মৃতি। মনে দাগ কাটে কারো কারো খেলা। সাইফউদ্দিন এখনো অনুপ্রেরণার খুঁজে পান ২০১৫ বিশ্বকাপে রুবেলের বোলিং থেকে। নিজেও স্বপ্ন দেখেন প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলাকে রাঙ্গিয়ে দিতে।