স্বার্থের সংঘাত ইস্যুতে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডকে (বিসিসিআই) কার্যত একহাত নিলেন মাস্টার ব্লাস্টার শচীন টেন্ডুলকার। ২০১৫ সালে বোর্ডের অ্যাডভাইজরি কমিটির সদস্য হিসেবে শচীনকে নিয়োগ করা হয়। কিন্তু ২০১৩ সাল থেকে আইপিএলে মুম্বাই ফ্র্যাঞ্চাইজির মেন্টর হিসেবে রয়েছেন শচীন টেন্ডুলকার। এরপরই বোর্ডের ওম্বুডসম্যান ডিকে জৈন নোটিস পাঠান শচীনকে। এমনকি ১৪টি পয়েন্টে শচীন সেই নোটিসের উত্তরও দেন।
শচীন যে চিঠিটি দিয়েছেন, তার ১০, ১১ এবং ১২ নম্বর পয়েন্টে বোর্ডের এই অবস্থার কড়া সমালোচনা করেছেন। শচীন তাঁর উত্তরে লিখছেন, ‘২০১৩ সালে অবসর নেওয়ার পর থেকেই মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের আইকন হিসেবে যুক্ত। তার দু’বছর পর অর্থাৎ ২০১৫ সালে ক্রিকেট অ্যাডভাইসরি কমিটিতে (সিএসি) যুক্ত করা হয়েছে।’
শচীন বলছেন, সিএসিতে নিয়োগ করার সময়ই যেহেতু তিনি মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের আইকন হিসেবে যুক্ত ছিলেন, সেটা জানা সত্ত্বেও সিইও বা সিওএ-কেউই তাঁকে বিষয়টা স্পষ্ট করে বলেননি।
শচীনের চিঠি বলছে, ‘নোটিসে (টেন্ডুলকার) বারবার বোর্ডের কাছ থেকে সিএসিতে তাঁর ভূমিকা কী, তা জানতে চেয়ে চিঠি দিয়েছিলেন। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত বোর্ডের কাছ থেকে কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি। বিসিসিআই জানে, সিএসি সদস্যদের উপদেশ বা সুপারিশমূলক ভূমিকা থাকে। এবং, মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের আইকন হিসেবে ভূমিকার সবটাই জনপরিসরে। তাই এই দুই ভূমিকার মধ্যে কোনও স্বার্থের সংঘাত নেই।’
এর পর ১২ নম্বর পয়েন্টে শচীন লিখেছেন, বুঝতে পারছেন না, বোর্ড তাঁকে সিএসি সদস্য হিসেবে নিয়োগ করার পর বর্তমানে কেন এই অবস্থা তৈরি হল, কী ভাবেই বা তাঁর ভূমিকা ‘ট্র্যাক্টটেবল কনফ্লিক্ট অফ ইন্টারেস্ট’ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এর জন্য সম্মানীয় এথিক্স অফিসারকে অনুরোধ করা হচ্ছে, তিনি রাহুল জহুরি বা বিনোদ রাইয়ের সঙ্গে কথা বলে এ নিয়ে তাঁদের অবস্থান জেনে নিন।