হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে দ্বাদশ আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংসকে হারিয়ে শিরোপা জিতে নিলো মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। আইপিএল আসরে এটি মুম্বাইয়ের চতুর্থ শিরোপা। এদিন চেন্নাইয়ের হয়ে ৮০ রানের ইনিংস খেলেও ম্যাচ জেতাতে পারেননি ওয়াটসন। শেষ ওভারে তিনি রান আউট হলে কোনোক্রমে ১ রানের জয়ে শিরোপা জয় করে মুম্বাই।
মুম্বাইয়ের দেওয়া ১৫০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ফাফ ডু প্লেসিস ও ওয়াটসন উদ্ধোধনী জুটিতে ৩৩ রান তোলেন। এরপর চতুর্থ ওভারের শেষ বলে ১৩ বল থেকে ২৬ রানে আউট হন।
দ্বিতীয় উইকেটে রায়না ও ওয়ানটসন জুটিতে আসে ৩৭ রান। দলীয় ৭০ রানে ১৪ বল থেকে ৮ রান করে চাহলের বলে এল বি ড্বলিউয়ের শিকার হন রায়না। পরবর্তী ১২ রান তুলতে একে এক ফিরে যান রায়ডু ১ ও ধোনি ২। চেন্নাই অধিনায়ক ধোনি রান আউট হন। এ সময় চেন্নাইয়ের সংগ্রহ ১২.৪ ওভারে ৮২ রান।
পঞ্চম উইকেটে চেন্নাইয়ের খেলায় ফেরান ব্রাভো ও ওয়ানসন জুটি। মালিঙ্গার ইনিংসের ১৬তম ওভারে একটি ছক্কা ও ৩টি চারের সাহায্যে ২০ রান নেন। এ সময় নিজের ফিফটি পূরণ করে ওয়াটসন।
১৭তম ওভারে বুমরার প্রথম বলেই ৫৫ রানের মাথায় পওয়ানসনকে প্যাভিলনে ফেরানোর সুযোগ ছিল্। কিন্তু সহজ ক্যাচ ফেলে দেন মুম্বাইয়ে ফিল্ডার। এরপর আরো ভয়ংকর হয়ে ওঠেন তিনি। কুনাল পান্ডের করা ইনিংসের ১৮তম ওভার থেকে তিনটি ছক্কায় একাই নেন ১৯ রান।
শেষ দুই ওভারে চেন্নাইয়ের প্রয়োজন ছিল ১৮ রান। এ সময় ১৯তম ওভারে বুমরা ৯ রান দিয়ে তুলে নেন ব্রাভোর উইকেট। ২০তম ওভারটি করতে আসেন মালিঙ্গা।
প্রথম তিন বল থেকে তিনি দেন ৪ রান। চতুর্থ বলটিতে সিঙ্গেল দুই রান নিতে গিয়ে রান আউট হয়ে যান। ৮টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৫৯ বল থেকে ৮০ রান করে আউট হয়ে যান তিনি।
শেষ দুই বলে চেন্নাইয়ের চার রান প্রয়োজন ছিল। পঞ্চম বলে শাদুর্ল ঠাকুর দুই রান নিতে পারলেও শেষ বলে বোল্ড হয়ে যান তিনি। ফলে ১ রানের আইপিএল দ্বাদশ আসরের শিরোপ জিতে যায় মুম্বাই।
বল হাতে মুম্বাইয়ের হয়ে কুনাল পান্ডে ৩৯, মালিঙ্গা ৪৯ এবং চাহার ১৪ রান দিয়ে প্রত্যেকে নেন ১টি করে উইকেট। বুমরা ১৪ রানে নেন ২টি উইকেট।