ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পাত্তাই পায়নি পাকিস্তান। ওশান থমাস, জেসন হোল্ডার এবং আন্দ্রে রাসেলের বোলিং তোপের মুখে পড়ে ২১.৪ ওভারে ১০৫ রানে অলআউট পাকিস্তান। এটি তাদের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহ। ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৭৪ রানে অলআউট হয়েছিল পাকিস্তান বিশ্বকাপে এটি তাদের সর্বনিম্ন স্কোর।
বিশ্বকাপে পাকিস্তানের সর্বনিম্ন পাঁচটি দলীয় সংগ্রহ
৭৪ বনাম ইংল্যান্ড, ১৯৯২ বিশ্বকাপ
১০৫ বনাম উইন্ডিজ, ২০১৯ বিশ্বকাপ
১৩২ বনাম অস্ট্রেলিয়া, ১৯৯৯ বিশ্বকাপ
১৩২ বনাম আয়ারল্যান্ড, ২০০৭ বিশ্বকাপ
১৩৪ বনাম ইংল্যান্ড, ২০০৩ বিশ্বকাপ
শুক্রবার ইংল্যান্ডের নটিংহামে টস হেরে ব্যাটিং-এ নেমে ইনিংসের শুরু থেকেই উইকেট হারায় পাকিস্তান।
ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই নিজের উইকেট হারান ইমাম-উল-হক। শেলডন কটরিলের গতির বলে উইকেটকিপারের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন পাকিস্তানের এ ওপেনার। ইমাম-এর বিদায়ের মধ্য দিয়ে ১৭ রানে ভাঙে পাকিস্তানের উদ্বোধনী জুটি। সাজঘরে ফেরার আগে ১১ বলে মাত্র ২ রান করেন ইমাম।
এরপর ইনিংস মেরামত করার আগেই ফেরেন অন্য ওপেনার ফখর জামান। আন্দ্রে রাসেলের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ১৬ বলে ২২ রান করার সুযোগ পান পাকিস্তানের এই ওপেনার।
দলকে গর্ত থেকে টেনে তোলার আগেই বিপদে পড়ে যান হারিস সোহেল। আন্দ্রে রাসেলের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ তুলে দেন তিনি।
ওশান থমাসের করা অফ স্ট্যাম্পের অনেক বাইরের বলে কাট করতে গিয়ে শাই হোপের দুর্দান্ত ক্যাচে পরিণত হন বাবর আজম। এভাবে সময়ের ব্যবধানে উইকেট হারিয়ে ২১.৪ ওভারে মাত্র ১০৫ রানে অলআউট পাকিস্তান।
দলের হয়ে হয়ে সর্বোচ্চ ২২ রান করে করেন বাবর আজম ও ফখর জামান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ২৭ রানে ৪ উইকেট নেন ওশান থমাস। এছাড়া ৪২ রানে ৩ উইকেট নেন জেসন হোল্ডার।
মজার ব্যাপার হলো ১৯৯২ বিশ্বকাপেও ক্যারিবিয়ানদের কাছে দশ উইকেটে হেরেছিল পাকিস্তান। শুরুতে কোণঠাসা হলেও এরপর দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় তারা। সবাইকে চমক দিয়ে জিতে নেয় শিরোপা। সেই ১৯৯২ বিশ্বকাপ হতে পারে টানা ১১ ম্যাচ হারা পাকিস্তানের অনুপ্রেরণার উৎস।