আফগানিস্তান বাংলাদেশ ম্যাচ শেষে প্রেস কনফারেন্সে এমনি আবেগঢালা কথা বলেছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের হেড কোচ স্টিভ রোডস। নির্দিষ্ট চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই তাকে কোচিং থেকে সরানোর গুঞ্জন উঠেছে।
স্টিভ রোডস অনেক নরম বন্ধুসুলভ ও খুবই ভদ্রচিত মানুষ। ক্রিকেটারদের আগলে রাখেন নিজ সন্তানের মত। আর তাতেই যত সমস্যা। কোচ কঠোর না হওয়াই তাকে খুব একটা দাম দেন না দলের ক্রিকেটাররা। এমন কি তার কথাও ঠিক মত শোনে না তারা। আর তার গেম প্ল্যানিংও প্রশ্নবিদ্ধ।
খেলা চলাকালীন সময়ে হুটহাট করে জরুরী সিদ্ধান্ত দিতে নাকি অনেকটাই অপারদর্শী স্টিভ। অথচ ইংল্যান্ড বিশ্বকাপকে মাথায় রেখে ইংরেজ কোচ রোডসকে নিয়োগ দিয়েছিল বিসিবি। বিশ্বকাপের মাঠে অবশ্য তাঁর কোনো ইনপুটই সেভাবে কাজে লাগেনি।
অবশ্য দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম পরিচয়েই রোডস ‘ফেল’ করে গিয়েছিলেন। সেদিনের সভা থেকে বেরিয়ে জাতীয় দলের এক সিনিয়র ক্রিকেটারের মন্তব্য ছিল, ‘এই লোক এখানে বেশিদিন টিকতে পারবে না।’ বিস্তারিত ব্যাখ্যায় বলেছিলেন, ‘ওল্ড স্কুল অব থটসের লোক তিনি।’ মানে মান্ধাতা আমলের চিন্তাভাবনা রোডসের। তাই তাকে নির্দিষ্ট মেয়াদের আগেই সরাতে চায় বিসিবি।
উল্লেখ্য যে, ২০২০ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত চুক্তিবদ্ধ ছিলেন স্টিভ রোডস। গুঞ্জন উঠেছে দলের হেড কোচ হতে পারেন জেমি সিডন্স বা চন্ডিকা হাতুরিসিংহে। আর সেই গুঞ্জন যে বর্তমান হেড কোচের কানেও গেছে। আর সেখান থেকেই তিনি বলেছেন আর যদি ৬ টা মাস আমাকে রাখা হত বাংলাটা শিখেই ফেলতাম।